নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ঠিকাদারি কাজ ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের লেপসিয়া বাজারে চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রহমত আলী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কুদ্দুসের মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। লেপসিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোস্তাফিজুর রহমান তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশের ব্যবহারের জন্য রহমত আলীকে রান্নাঘর এবং আবদুল কুদ্দুসকে বেঞ্চ নির্মাণের কাজ দেন। গতকাল সকালে ভুট্টু সূত্রধর নামে এক মেস্তুরি (কারিগর) রান্নাঘরের কাজ শুরু করলে কুদ্দুস একই মেস্তুরিকে ডেকে আগে বেঞ্চ নির্মাণের কাজ করার কথা বললে রহমত আলী ও কুদ্দুসের মধ্যে এ নিয়ে তর্কবির্তক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পরই আবদুল কুদ্দুস ও রহমত আলীর লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে উভয় পক্ষের লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গুরুতর আহত আবু সিদ্দিক (৩০), মাঈন উদ্দিন (৩২) এবং ফায়েজ উদ্দিনকে (২৫) খালিয়াজুরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে খালিয়াজুরী থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ বাধে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।