আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিরিয়া আক্রমণে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র

হামলা করার আগে ভোটে জিততে হবে কংগ্রেসে। এর আগে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাই বলে দিলেন, আসাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই। তাতে অবশ্য তৎপরতা থেমে নেই। কোমর বেঁধে লড়ে যাচ্ছেন ওবামা। গতকালই মার্কিন কংগ্রেসে সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। আর এ ব্যাপারে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এদিকে ২১ আগস্ট সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীই কথিত হামলা চালিয়েছিল কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে কোনো রকম হামলার বিপক্ষে জনমত গড়ে উঠছে আমেরিকায়। এ পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ ডেনিস ম্যাকডোনা বলে দিয়েছেন, আসাদের বিরুদ্ধে আসলেই প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ নেই। ২০০৯ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ী আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট চার বছর পরই যুদ্ধর জন্য মরিয়া! গতকাল হামলার পক্ষে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য একসঙ্গে ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় মার্কিন হামলা নিশ্চিত করার জন্য আমেরিকায় ইসরায়েলের লবি তৎপর। আসাদবিরোধী সিরীয় জোটও সেখানে সক্রিয়।

'রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করিনি' : সরকারি বাহিনীই যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এর কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নেই বলে দাবি করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।

গতকাল প্রচারিত মার্কিন সংবাদ সংস্থা পাবলিক ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (পিবিএস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন। এ ছাড়া, পশ্চিমা বাহিনী হামলা করলে তার মিত্রবাহিনী পাল্টা জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেন, দামেস্কের ওই রাসায়নিক হামলায় তার সেনাবাহিনীই যে দায়ী তা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রমাণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আমার নিজের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছি এমন কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নেই। অতএব সিরিয়ার সরকার নির্দোষ। আসাদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পশ্চিমা বাহিনী যদি কোনো ধরনের হামলা চালায় তবে তার পক্ষের মিত্ররাও পাল্টা জবাব দেবে। রাশিয়া, চীন, ইরান ও লেবাননের সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ সিরিয়া সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে খ্যাত। এদিকে, সিরিয়া সীমান্তে এবার জঙ্গিবিমান মোতায়েন করেছে তুরস্ক। সিরিয়ার ওপর মার্কিন সামরিক হামলার আশঙ্কা যখন অনেকটা সময়ের ব্যাপার বলে মনে করা হচ্ছে তখন তুরস্ক এ পদক্ষেপ নিল। এরই মধ্যে দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের সামরিক শক্তি বাড়ানোর বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ঘোষণা না থাকলেও তুর্কি প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন থেকেই বলে আসছেন, বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক হামলায় অংশ নেবে আঙ্কারা। রবিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় সানলিউরফা প্রদেশে তুর্কি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তুরস্কের টুডেজ জামান পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। পত্রিকাটির খবর অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গাজিয়ানটেপ শহরের কমান্ড পোস্ট থেকে সেমি-ট্রেইলার ট্রাকে করে বহুসংখ্যক সাঁজোয়া যান এবং ট্যাঙ্ক নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তুরস্কের হুররিয়াত পত্রিকা জানিয়েছে, সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি জঙ্গিবিমান সিরিয়া সীমান্তে টহল দিয়েছে। এএফপি, বিবিসি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.