রাজনৈতিক অস্থিরতার এই সময়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ডেকে এনে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সরকারি কলেজের পাঁচ শতাধিক শিক্ষককে কোনো স্থানে পদায়ন না করে ইনসিটু রেখে তাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করছেন বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। জানা গেছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের বেশ কিছু শিক্ষককে দেশের মফস্বল এলাকায় বদলির ভয় দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডেকে আনা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে নানাভাবে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের ঘুষ। ঘুষ না দিলে তাদের পাঠানো হবে ভোলা নয় তো পাটগ্রাম বা বান্দরবানের কলেজে। ফলে নিরুপায় হয়ে ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে হয়ে যাচ্ছেন ইনসিটু (পদোন্নতির পরও পদায়ন না হয়ে পুরনো কর্মস্থলে থেকে যাওয়া)। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি বাংলা কলেজের এক শিক্ষক জানান, সরকারের এই ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই বিপদ হয়। আমরা তাদের কাছে জিন্মি। সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম সচিব এহসানুল জব্বার এ বিষয়ে বলেন, অনেক শিক্ষক ইনসিটু হয়ে আছেন। তাদের সুযোগ মতো পদ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নেওয়া হয় না। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন ও অডিট শাখায় অভিযুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ডেকে এনে উপঢৌকন গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন বদল করে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন অভিযোগকারীরা। তারা অভিযোগ প্রদানের পরও কোনো সঠিক তদন্ত এবং বিচার পাচ্ছেন না। কামরাঙ্গীর চরের ফাজিল মাদ্রাসার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানান, শিক্ষক নিয়োগের জটিলতাকে কেন্দ্র করে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর একটি প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু অপর পক্ষ সেই প্রতিবেদন রাতারাতি বদলে ফেলে। অভিযোগকারীদের উল্টো বিপদে ফেলে। আইন ও অডিট শাখার যুগ্ম সচিব মো. রফিকুজ্জামান জানান, নিরীক্ষা অধিদফতর থেকে এক ধরনের প্রতিবেদন আসে। আমরা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। তবে অধিকাংশই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা নিয়ে কোনো দুর্নীতি সহ্য করিনি। দুর্নীতি তাই অনেক কমেছে। এখন কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।