আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারই অনির্বাচিত ব্যক্তি দিয়ে নির্বাচন করাতে চায়

সরকারই অনির্বাচিত ব্যক্তি দিয়ে নির্বাচন করাতে চায়। বাইরের কথা বাদ দিলাম, সরকারের মন্ত্রিসভায়-ই রয়েছে অনির্বাচিত অনেক লোক। স্পিকার নিয়োগ এর একটা বড় প্রমাণ। রবিবার বাংলাভিশনের টকশো 'নিউজ অ্যান্ড ভিউজ'-এ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এ কথা বলেন। মোস্তফা ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান।

নাঈমুল ইসলাম খানের এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, অনির্বাচিতরা নির্বাচিত ব্যক্তির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী_ এর প্রমাণ তো সরকারের ভেতরেই দেখা যাচ্ছে। এইচটি ইমাম সাহেব বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই যে একেবারে সঠিক তা নয়। তিনি এও বলেছেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে পার্লামেন্টও ভেঙে দিতে পারে।

নোমান বলেন, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন তারা সরকার গঠন করবে এটাই স্বাভাবিক।

এটা জটিল কোনো বিষয় নয়। অযথা এটা নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। মাঠ সমান্তরাল না করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেখানে কারচুপি হবে। তিনি বলেন, আন্দোলনের চাপ বা পরিস্থিতির কারণেই হোক এই সরকার তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহালে বাধ্য হবে এটা আমার বিশ্বাস।

৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। এটা আদায় করতে যে কোনো আন্দোলনে যেতে তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত। নরসিংদীর জনসভায় মানুষের যে আওয়াজ শুনেছি তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এ সরকারের ভরাডুবি সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিএনপি নেতা বলেন, সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য কোনোভাবে সমস্যা সমাধান সম্ভব না। সরকারি দল সংবিধান পরিবর্তন করে একটা অবস্থানে আছে।

তাদের সে অবস্থান থেকে সরতে হবে। আগের সংবিধান হুবহু আনার কথা বলছি না। আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিন। আমরা তো বিভিন্ন সময় বলেছি আপনারা এজেন্ডা দিয়ে আলোচনায় ডাকুন। আমরা বসতে রাজি আছি।

সরকারের আহ্বানে আমরা সাড়া দিইনি এ কথা সত্য নয়। 'সংসদে আসুন, আমরা আলোচনা করব'-প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য নতুন কিছু না। সংসদে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডাভিত্তিক দিনের কার্যক্রম নির্ধারিত হয়। সেখানে কি আলোচনা করবেন? আগেও তিনি এ কথা বলেছেন। আমরা সংসদে গিয়েছি।

কই, আলোচনা তো হয়নি। যারা অবুঝ শিশু বা যাদের সংবিধান বা সংসদ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই তাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলছেন। এখানে কোনো সারবস্তু নেই। তিনি বলেন, নরসিংদীর সমাবেশে আন্দোলনের মেজাজ ছিল। জনগণের ধারণা- কঠিন আন্দোলন ছাড়া এ সরকার বা প্রধানমন্ত্রী সহজে তার দলীয় নির্বাচনের জায়গা থেকে সরে আসবে না।

যেহেতু সময় স্বল্পতা। তাই আন্দোলনকে দ্রুত জোরদার করতে হবে। ফলে আমরা মনে করছি সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক না ফিরলে দেশে একটা তীব্র আন্দোলন হবে।

নোমান বলেন, সংবিধান সংশোধন, পরিবর্ধন করা হয়েছে যার অনেক কিছুই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়নি।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.