একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতা, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার
প্রতিদিন অফিস টু বাসা করতে আমাকে বাসে উঠতে হয়। আমি বাসা থেকে বাসে চড়ে ফার্মগেট আসি। প্রতিদিন রাস্তায় বিচিত্র সব ঘটনার সাক্ষী হতে হয়।
আমি যে বাসে চড়ে ফার্মগেট আসি সেই বাসের ভিতরের সিট এরেঞ্জমেন্ট ডান পাশে তিন সিট আর বাম পাশে দুই সিট। যদিও টিকেট কেটে উঠতে হয় তারপরেও দাড়িঁয়ে লোক নেয়া হয়।
তো যাই হোক, কোন একটি কাউন্টারে যখন গাড়ী এসে থামলো, লোকজন উঠছে। একপর্যায়ে শুনলাম পিছনের সিটের দিকে একটু গোলমাল। পিছনে তাকিয়ে দেখলাম যে বাম পাশের ডবল সিটেড সিটে জানালার ধারে একজন মহিলা বসে আছে। বয়স প্রায় ২৬/২৭ হতে পারে। গেটআপ দেখে মনে হলো কোন অফিসে চাকুরী করে।
সালোয়ার কামিজ পড়া। বেশ স্মার্ট। আর সেই জায়গাতেই গ্যাঞ্জাম। দেখলাম সবার মনোযোগ সেইদিকে। মহিলা খুব জোড়ে জোড়ে কথা বলছে।
পাশে একজন লোক দাড়িয়ে কথা বলছে।
পরে শুনলাম, সেই মহিলার পাশের সিট খালি থাকা সত্বেও সে কোন লোক বসেতে দিবে না। লোকটি আর কোন সিট খালি না পেয়ে সেখানে বসেতে গিয়েছিল। তখন ঐ মহিলা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। মহিলা চিৎকার করে বলছে, "মেয়ে মানুষ দেখলেই পাশে বসতে ইচ্ছে হয় তাইনা?" এই কথা বলার সাথে সাথে আশেপাশের লোকজন এর প্রোটেষ্ট শুরু করে।
মহিলার কথা, তারপাশে যদি কেউ বসে তবে মহিলাই বসবে।
বাসের কনডাক্টরও এই ঝামেলা মিটাতে পারলো না। শেষে হতভাগা সেই ভদ্রলোক নিজেই পরাজয় বরণ করে বাস থেকে নেমে গেল প্রতিবাদ সরূপ। তারপরেও সেই মহিলা কথা বলেই চলছে। পুরোটা রাস্তা সেই সিটটি খালিই থাকলো।
আমি মনে করি লোকটি নেমে গিয়ে ভালই করেছে কারণ এই ধরনের মন মানসিকতার মেয়ে মানুষের সাথে কথা বলা উচিত না। এদের ঘৃণা করা উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।