চলছি, যেমন চলছে। ইমেইল: lostindrk@gmail.com
খুব ধীরে ধীরে বুকে এক উষ্ম নিঃশ্বাস পড়তে লাগলো। ঘুম আমার হালকা হয়ে এল। আমার খুব পরিচিত এই অনুভূতি আর কারোও নয়, রুম্পার করা। প্রথম দিকে বেশ কেমন যেন শরীর শিউরে উঠত।
বছর খানেক আগেও খুব হাসির পাত্র হতাম। এখন, মুখে বিরক্তি দেখালেও, সত্যিই বলতে কি, ভাল লাগে। মনে হয়, সংগে কেউ আছে।
: কি ভাবছ?
: আরেকটা বিয়ে করব কিনা...
: করে দেখ একবার।
: কি করবে?
: দেখবে?
বলেই কোন কথা নেই, আমার বুকের লোমগুলো ওর হাতে মুঠিতে ধরা।
: ওফ, লাগে তো।
আবার, সেই রিনরিনে হাসি।
: কণা আপু আজকে এসপেক্ট করছে।
ওর হাতটা আস্তে সরিয়ে বলি,
: তুমি জানলে কিভাবে?
: কালকে ওর শ্বাশুড়ি ফোন করেছেন। যেতে বলেছেন হাসপাতালে।
: হুম।
: তুমি যাবে না?
: আমি গিয়ে কি করব?
: আফটার অল, তোমার ফেবারিট কণা বলে কথা।
গতবছর, আরো কিছু পড়ে হয়ত, কণার সংগে শেষ দেখা। অফিস থেকে বেরিয়ে পড়লাম কাল বৈশাখীর ঝড়ে। ঝড়টা আমার জীবনেও এসেছিল।
: আমাদের মেহমান যেন তোমার আইলেস পায়।
: হুম।
চোঁখের পাতাদুটো আমার আবার খুব ভারী হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে স্মৃতির এক অসমাপ্ত কোন অধ্যায়ে চলে যাচ্ছি। রুম্পার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আমার বুক ছাড়িয়ে গালেও আছড়ে পড়ছে।
মনে হলো, সমুদ্রের গভীরে শীতল কোথাও তলিয়ে যাচ্ছি। অক্টোপাসের শক্ত পাসে নীল রংগুলো তরল থেকে কঠিন হচ্ছে। কণার মুখটা দেখতে পাচ্ছি এই অন্ধকারেও।
আচ্ছা, আমাদের অনাগত শিশুর চোঁখদুটো কি আমারই হবে, না কণার।
[বিঃ দ্রঃ - সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্প।
বাস্তবে কারও সাথে মিল নেই। যদি, কোন মিল পাওয়া যায়, তবে সেটা সম্পূর্ণ কাকতালীয়]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।