শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, লেখার স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে।
“চর্তুদিক থেকে অক্টোপাসের মতো সরকার গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরেছে। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। ”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘অতি দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে’ আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘অষ্টম কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলায় কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি লন্ডনে চলে যান।
তারেকের গ্রেপ্তারের সেই দিনটিকে ‘কারাবন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “৫ জানুয়ারির তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। উপজেলা নির্বাচনেও তারা এই অবৈধ সরকারের প্রতি তাদের অনাস্থা জানিয়ে যাচ্ছে।
”
দেশের মানুষ আবার ‘মুক্ত পরিবেশে বুক খুলে’ নিঃশ্বাস নেয়ার অপেক্ষায় আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, বিএনপি ও শরিকদের নির্যাতনের জন্যই পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগের কথা বলেছেন।
তারেক রহমানকে দেশের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমেত্বের প্রতীক অভিহিত করে ফখরুল বলেন, “অতি অল্প সময়ে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যখন প্রথম দেশে আসেন, তাকে ফুলের তোড়া পাঠিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এভাবে রাজনীতিতে নতুন সংস্কৃতি চালু করেছিলেন তারেক রহমান।
”
আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ‘বিষোদগার আর মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে’ তার প্রতিদান দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “১/১১ এর কুশীলবদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তারেক রহমান। তাকে কারাবন্দি করে কেবল নির্মম নির্যাতনই চালানো হয়নি, তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ”
মহানগর সদস্য সচিব ও অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম ২০০৭ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় সংস্কারপন্থী ছিলেন। তার বক্তব্যের সময়ে একদল কর্মী ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে চিৎকার করে।
পরে ফখরুল তাদের থামিয়ে দেন।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল করীম, দলের অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, যুবদলের সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মনির হোসেন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির বক্তব্য দেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।