আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিধাতার ছাগুপ্রীতির কারণ, রাজাকারের শান্তি!!) সাধ এবং অদূরে দাড়ানো একটি দিবাস্বপ্ন।

বেশী কিছু লিখার নেই..কারণ বেশী কিছু জানাও নেই। । বিধাত্রীর সাথে বিবাহের অনেক বছর হইয়াছে বিধাতার...স্বর্গলোকে তাহাদের অতীব সুখের সংসার...কিন্তু বিধাত্রীর ফরমায়েস খাটিতে খাটিতে বিধাতার এখন মনে হয়, পরজন্মে বিধাত্রীর কোলের অতি প্রিয় ছাগশিশু (যাহা তিনি পিতৃলয় থেকে আসার সময় লইয়া আসিয়াছিলেন) হইয়া জন্মালেই ভাল হইত । ৭১ সালের এক শুভ সকালে- বিধাতার কাছে তাহার শ্বশুর সম্পর্কিত আত্মীয় ..এক দল ছাগল আসিয়া ফরিয়াদ জানাইল... হুজুর, চার পায়ে ভর করিয়া হাটিতে বড় কষ্ট..একটু উপশম করিয়া দেন। বিধাতা কহিলেন: বিষয়টি বিবেচনায় থাকিল...সিদ্ধান্ত পরে জানাইব।

ছাগলের দল চলিয়া গেলে নিভৃতে নিজে চার পায়ে হাটিবার চেষ্টা করিয়া দেখিলেন...এবং উহাদের কষ্ট বুঝিলেন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ভাবিলেন...ছাগ দের দুইটি পা কমায়া দেয়া দরকার...পরমুহুর্তে মনে পড়িল উক্ত সভায় গরু, ঘোড়া, হাতিরা উপষ্হিত ছিল। এখন প্রাণী কূলের সকল চতুষ্পদী এই দাবী করিলে কি করিবেন তিনি! ভাবিতে ভাবিতে তাহার ছাগ প্রীতি শিকায় উঠিল। আবার তাহাদের দাবীর অপূর্ণতা রাখিলে বিধাত্রীর অগ্নিশর্মা মুখ খানিও বিধাতার মনে পড়িল। একটু পরে ভাবিলেন ছাগদলের মধ্যে নেতাপ্রীতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়..উহাদের নেতাদের ধরিয়া একটু সমঝোতা করিলে হয় না, যেহেতু অন্যরা কেউ এই দাবী করে নাই! যা ভাবা সেই কাজ...ডাকিয়া পাঠাইলেন শীর্ষ ছাগনেতৃবৃন্দদের.... সকলে আসিলে খুলিয়া বলিলেন..তাহার স্বদিচ্ছার কথা..এবং তার প্রেক্ষিতে সাম্ভাব্য চতুষ্পদী বিপ্লবের কথা...ছাগনেতৃবৃন্দ মাথা নাড়িয়া, দাড়িগুচ্ছ নাচাইয়া বুঝাইলেন যে তাহারা বিধাতার বক্তব্য বুঝিয়াছেন।

সবচেয়ে মুরব্বী ছাগ নেতা কহিলেন...ঠিক আছে...আমরা আমাদের ছাগ সমর্থকদিগকে বুঝাইব...কিন্তু আমাদের (শীর্ষ ছাগনেতৃবৃন্দদের) দাবি পূরণ করিতে হইবে। বিধাতা কহিলেন: সাধু...( সামান্য হাদিয়ার বিনিময়ে চতুষ্পদী বিপ্লব...এড়ানো যাবে এই ভেবে অতি আবেগে বলিলেন)...আপনাদের অদেয় আমার কিছু নেই....হাজার হলেও আপনারা শ্বশুর পক্ষীয়...... ১ম মুরব্বী ছাগ নেতা কহিলেন...আমাদের কয়েকটা দাবি আছে...সেইগুলো হইতেছে..আমাদের মানুষের মত কথা বলিবার সুযোগ দিতে হবে। সেই সাথে আমরা যারা (নেতারা) দুইটা করে পা কুরবান করিব, তাহার বিনিময়ে সাড়ে সাত ইঞ্চি মেশিন দিতে হবে যা ওয়ান এন হাফ ইঞ্চি মোটা হইবে। বিধাতা বলিলেন: বুঝিলাম...আপনাদের দাবি মানিয়া নিলাম। তারপর.. ২য় মুরব্বী ছাগ নেতা (পায়জামি) আরও কহিলেন: আমারা যা কহিব, ছাগ দলের সবাই যেন ম্যা ম্যা করে তাহা মানিয়া নেয়..আর হ্যা, আমাদের রাজনীতি করার একটু খায়েশ ছিল।

বিধাতা বলিলেন: ঠিক আছে...তাহা হইবে। আপনার যেহেতু শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়.. আমার ইচ্ছা ছিল আমেরিকার রাজনীতিতে আপনাদের ঢুকানো..কিন্তু উহা তো গাধা আর হাতি আগেই বুকিং দিয়া রাখিয়াছে। বঙ্গদেশ হইলে চলিবে? ছাগনেতৃবৃন্দ সমস্বরে কহিলেন: অবশ্যই...কেন নয়..বঙ্গদেশ এই তো আমাদের স্বজাতি সমর্থক সবচাইতে বেশী..আর বঙ্গললনার সুনাম তো সর্বত্র। অপর ছাগ নেতা (ছাইদিয়া) গাই গুই করিয়া কহিলেন, আর একটু আর্জি আছে..সেইটা হল... মেশিন চালানোর ব্যবস্থা করিয়া দিতে হইবে (টেবিলের উপর শুয়ে পা দুইটা ঝুলাইয়া রাইখ্যা যাতে....)... তখনই তার চেলা (ঝোল্লা/মোল্লা) কহিল...ওস্তাদ: কামের লাইগা পযার্প্ত পানের ব্যবস্থা...আর খাওনের লাইগা লইট্ক্যা ফিশ এর এন্তেজাম করণ লাগব, কইলেন না যে..?? বিধাতা দেখিলেন, বিপদ সুপ্রসন্ন...প্রতি ক্ষণে যে হারে দাবি বাড়িতেছে...কখন না ছাগদল স্বর্গলোক দাবি করিয়া বসে। ...তিনি বলিলেন...চাহিদাকৃত দাবী পূরণ হইবে.... এবং পরদিন তিনি তাহাদের বঙ্গদেশ পাঠাইয়া দিলেন।

অত:পর ছাগনেতৃবৃন্দ বিধাতার বরপুষ্ট হইয়া জমজমাট জীবন কাটাইতে থাকিলেন। (অবশ্যই অনন্ত: কালের জন্য নয়!) ৪০ বছরেরও বেশী সময় বিধাতার বর ভোগ করার পর মেশিন চালানো, পানের পোকা, লইট্ক্যা প্রিয় ছাগনেতৃবৃন্দরা ভাবিলেন সুখ তো অনেক করিলাম, কিন্তু অনেক দিন ছাগ দলের সবার ম্যা ম্যা শোনা হয় না। বিধাতার কাছে টেলি বার্তা করিয়া ছাগনেতৃবৃন্দ জানাইলেন...এবার আমরা ছাগ দলের ম্যা ম্যা শুনিয়া একটু দিলে শান্তি পাইতে চাই... বিগত ৪০ বছরে উহাদিগকে লইয়া নানাবিধ যন্ত্রণায় নির্ঘূম রাত পোহাইয়া বিধাতার চোখের দৃষ্টি খানিকটা ঝাপসা হইয়া আসিয়াছে...তাই তিনি পড়িলেন ".........ম্যা ম্যা শুনিয়া একটু দিনে শাস্তি পাইতে চাই"। খুশী হইয়া ....বিধাতা কহিলেন তথাস্তু.... সর্বশেষ সংবাদ: পিয়ারে আশেকান ছাগনেতৃবৃন্দদের ম্যা ম্যা ডাক শুনাইবার জন্য ছাগ দলের সদস্যরা রাস্তায় নামিয়া আসিয়াছে। ছাগল নাইয়া থেকে তোলা উপগ্রাহিকচিত্রে তাদের দলে দলে অংশগ্রহণ করিতে দেখা গিয়াছে।

(নিচে দ্রষ্টব্য) আশ করা যায়...দেইল্লা (ছাইদিয়া) আর মোল্লা-ঝোল্লার "ম্যা ম্যা শুনিয়া একটু দিনে শাস্তি পাওয়ার স্বপ্নসাধ" অতি দ্রুত পূরণ হইবে। বিধাতা আবারও ব্রক্ষার বাসা হইতে ভাল সরিষার তৈল লইয়া আসিয়াছেন। উদ্দেশ্য ছাগনেতৃবৃন্দদের "ম্যা ম্যা শুনিয়া একটু দিনে শাস্তি পাওয়ার স্বপ্নসাধ" পূরণ হওয়া দেখিয়া একটু শান্তিতে নিদ্রায় যাইবেন। গভীর নিদ্রার দরকার বিধাতার...সেই সাথে আরও লাখো শহীদ আত্মার....যারা ৪০ বছর ধরে নিদ্রাহীন... বিভীষিকাময় ছাগনেতৃবৃন্দদের চরম শাস্তি দেখিয়া শান্তিতে ঘুমাতে যেতে চান তারা...বিধাতার মত নির্ভার হয়ে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।