/
....................................................................................রাত্রি দ্বি প্রহর
.............................................................................সন্যাস দীক্ষাকেন্দ্র
মাতঃ
আমার প্রণাম গ্রহন করিবেন। আপনি পুজ্যতুল্য তাই সর্বদাই স্মরণ করি নাম। বিধাতা যেন যুগ যুগ ধরে সন্তানদের কৃপা বর্ষান। আপনার স্নেহাতিশয্যে নরককুন্ডে ঝরে স্বর্গীয় পারিজাত। নমস্তে মাতঃ আমার মাথায় থাকুক সতত আর্শীবাদ।
আমি তোমা হতে আছি একা একা অনেক দূর। জগত রোগ শোক ব্যাধি কর্মযজ্ঞে ভরপুর। ক্লান্তি শ্রান্তিতে কেউ হাতে উঠাইয়া দেয় না এক গ্লাস জল। যে সহযোগী বন্ধুটি ছিল সে কয়েক দিবস আগে এক অতিশয় সুন্দরীকে বিবাহ করিয়া এখনে গৃহস্থল। উক্ত বিবাহ অনুষ্ঠান হইতে প্রত্যাবর্তনকালে অকস্মাৎ কোমরে যন্ত্রনার আক্রমন।
কেউ যৎকিঞ্চিৎ মাজিয়া দিলে যার সাময়িক উপশম কিন্তু তাহার উপায় নাই। তাই, গৃহের বড় খাটিয়ায় রাত্রি দ্বি-প্রহরে এপাশ ওপাশ বড় উসখুস। টিকটিকি, তেলাপোকা, ইঁদুর সামান্য নড়িলেও আমি কাঁপিয়া বেহুশ। জ্বর আসিয়া গেলে আমি কাঁদিয়া ককাই উহ ! উহ ! ওওরে ! বন্ধু শুনিয়া ছুটিয়া আসিতে চাহিলে পত্নী ধরিয়া কহে, ন যাইয়ো, বইসো এ ঘরে।
আমি এই রকম আছি।
জানি, আমার সমাচার জানিয়া আপনি দুঃখিত হইবেন আর তা লাঘব করিতে উঠিয়া পড়িয়া লাগিবেন। আমার জন্য আপনার ভালবাসা অতিশয়, আমি ভাল থাকিলে আপনি ভাল থাকিবেন নিশ্চয়।
আপনার অতি আদরের ধন
ভীতু পবন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।