আমি আঁধারে তামাসায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।
বাংলা মাতার গর্ভপাত
বাংলা মাতার গর্ভপাত
-------------------------------------------
চেতনারা ধুলো হয়ে বিবর্ণতার প্রলেপ আঁকে
জীবনের সবুজ পাতার ত্বকে ।
আবদ্ধ গৃহকোণে ঘুমিয়ে আছে যত কবি,
দেখেনি তারা কভু অজস্র অশ্রু রবি।
হে বাংলা মাতা,
আমি দেখিনি একাত্তুরের ভয়াল যুদ্ধ সেই,
আমি শুনেছি নব শতাব্দীতে তোমার আর্তনাদ এই।
আমি তোমাকে মিছে আশ্বাস দেবনা;
জানি তুমি আমাকে অভিশাপ দেবে,
তবু, তোমাকেই বলছি শুন;
তোমার অশ্রুস্নাত চোখে লেখা
আমার এই কবিতা, তুমি শুন –
মাটির ওপারে আমরা দাফন করেছি
বাংলার গৌরবময় ঘাত,
মাটির এপারে আমরা কাফন বুনেছি;
হতে দেবনা ও বাংলা মা তোমার গর্ভপাত।
বিনা টিকেটে আমরা নির্লজ্জ চোখে দেখছি –
বাংলার রঙ্গমঞ্চে নাট্য রত কিছু শকুনের দল।
মঞ্চে লুটায়েছে খত-বিক্ষত কত নারীর দেহ,
তাকে ঘিরে অশ্লীল নৃত্য রত আরও কিছু শকুনের দল।
মিছিল আর গুলির সুরে মাতিয়েছে –
বাংলার যেন এক ওপেন এয়ার কোন কনসার্ট ।
উন্মুক্ত করেছে বাংলার দাড়;
অশ্রু -ঘামে ভেজা এই বাংলার যত সম্পদ,
রাখবেনা এই বাংলায় আর।
সত্যি! বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়,
আষাঢ়ী ষড়যন্ত্র মেলা সার্থক হতেছে;
বুদ্ধিজীবীগণ কয়।
তরুনের প্রেম ডুবেছে মাদক শিশির নেশা জলে,
প্রেমিকেরা ঘুমেছে নীল রাবনের কোলে।
তোমাতে – তোমাতে বিরোধ জাগিয়ে;
যুবকের রক্তস্নাত লাশ ফেলছে রাজপথে।
জীবন পোড়া ধোঁয়ায় ও বারুদের গন্ধে বিষাক্ত করছে বাংলার বাতাস,
আর বধ্য ভূমিতে খোঁজ করছে আজ হারান বাংলার ইতিহাস।
হে বাংলা মাতা,
মাটির ওপারে আমরা দাফন করেছি
বাংলার গৌরবময় ঘাত,
মাটির এপারে আমরা কাফন বুনেছি;
হতে দেবনা ও বাংলা মা তোমার গর্ভপাত।
হে বাংলা মাতা,
তোমাকেই বলছি শুন;
তোমার অশ্রুস্নাত চোখে লেখা
আমার এই কবিতা;
আমার এই কবিতা বুঝি দুমড়ে – মুচড়ে গেল
আমাদেরই পদতলে।
বুড়ো সূর্যটাও বুঝি ঘৃণায় – লজ্জায় লুকাল
মেঘেরই আঁচলে।
আরও দু ফোঁটা অশ্রু ঝরাল শিল্পীর তুলি,
আরও দু ফোঁটা অশ্রু ঝরাল কবির কলম,
আরও দু ফোঁটা অশ্রু ঝরাল সৈনিকের অস্র,
গনধর্ষণের স্বীকার বাংলা মাতা
আরও দু ফোঁটা অশ্রু ঝরাল নগ্ন শরীরে।
কোথাও নেই কোন খাঁটি সাহায্য – সহযোগিতা,
কিম্বা কোথাও নেই কোন খাঁটি সহমর্মিতা।
আছে কেবল ক্ষমতার লালসায়
বীভৎস রাজনীতি – হরতাল – সন্ত্রাস – ধর্ষণ,
বক্তৃতা নামক চাপাবাজি আর মিছে হৃদয়ের টান,
কিম্বা মিছে অশ্রু নামক দু ফোঁটা চোখের জল।
সরকার কিংবা বিরোধী দল মানেই
ভণ্ড নেতা – নেত্রীদের বেজাতি দল।
প্রশাসনের নামে উপ্রি নীতি আর কালোবাজারি,
জন নিরাপত্তা আইনের নামে নিছক ভণ্ডামি,
আর নিরাপত্তা কখনো চোখেও দেখিনি,
আশাও করিনি;
এভাবে চলবে আর কতদিন – আর কতকাল ?
আমরা বোকা নই তবু যেন বোকা হয়েই থাকতে হয়,
আমরা অভাগা বাংলাদেশী – আমাদের মাঝে
আজো আছে সেই রাজাকারের দল –
আছে নব্য গড়ে উঠা যত শকুনের দল।
আজ একটিই শ্লোগান ধ্বনিত হোক বাংলার রাজপথে;
প্রতিবাদী মিছিলে বীর জনতার কণ্ঠ হতে –
“যুগে – যুগে চাইনা আর আমাদের বাংলা মাতার গর্ভপাত”
জাগো বাংলাদেশী জাগো,
সূর্যের আলোকে স্নান করে
তপ্ত স্বদেশী তাজা রক্ত, শরীরে বহে
সম্পূর্ণ স্বাধীনতার জীবনে
শুধু সামনেই এগিয়ে চল।
চারিদিকে ধর্মের নামে চলছে নাস্তিকতা,
মসজিদ কিংবা মন্দিরে বলছে তারা যত সব অশ্লীল কথা।
তোরা মর্ত্যে যেয়েও বুঝি ছিঁড়ে খাবি
জড়া জীর্ণ পাপী কোন নারীর শরীর।
তাই তোদের বলছি, তোরা শোন;
এদেশ ছেড়ে তোরা চলে যা মর্ত্যে,
মর্ত্যে যেয়েই বলিস তোরা তোদের রাজনৈতিক শ্লোগান আর
অশ্লীল যত সব কথা।
এ আমার বাংলাদেশ – এ আমাদের বাংলাদেশ,
এ সকলের বাংলা মাতা – আর এই বাংলা মাতার
বিষাদের শরীরে কিছু আঁশটে আমিষের মতই কাহিনী,
আঁশটে আমিষের মতই আঁশটে ইতিহাস; -
কেউবা মুক্তির জন্য সেই সে ভয়াল যুদ্ধই না করে
কেবল নামেই বনে গেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ,
কেউবা ছিল স্বৈরাচারী,
কেউবা ছিল দেশদ্রোহী – মুখোশ বদলে সেজেছে আজ
ভণ্ড নেতা নামক উগ্র মৌলবাদী ,
কেউবা আজো আড়ালে থেকে করছে যত ছল চাতুরী,
কেউবা মুচকি হেসে করছে বেঈমানি,
অথচ তারাই বলছে তারা নাকি
বিশুদ্ধ খাঁটি দেশ প্রেমী !
এ লজ্জা কার ?
আবারো বলি, “এ লজ্জা কার ?”
এইত বাংলা মাতার গৌরবময় ইতিহাস !
কোন পত্রিকার কোথাও নেই একটি ফাঁকা কলাম;
যেখানে ছাপা হবে “সত্যের জয়”
কোন সম্প্রচার মাধ্যমের কোথাও নেই একটি ফাঁকা সম্প্রচার;
যেখানে সম্প্রচারিত হবে “সত্যের জয়”
আমরা বাংলাদেশীরা আবারো স্বপ্নের নকশা বুনি,
বাংলা মাতার সবুজ শাড়ির রক্তিম আঁচলে,
ঐতিহাসিক কোন এক বিজয় দিবসে
মহান আল্লাহ সুভআনাতাআলার অসীম রহমতের আশ্রম ছায়ায়,
বীর বাংলাদেশীদের বীরত্তের সজীবতায়
আমরা হয়েছি পুরনাঙ্গ স্বাধীন;
পূব আকাসে উদেছে মৃত্যু দূত রুপী স্বাধীন সূর্য,
সেই সূর্যের আগুনে জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে;
“বাংলা মাতার গর্ভপাত”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।