তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
এতো কাজের চাপ। মনে হচ্ছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৫ ঘন্টা কাজ করতে হবে। কলিগ আগামী সপ্তাহে ছুটিতে যাবে তাই পোডাক্ট এই সপ্তাহেই শেষ করার চিন্তা। পরবর্তিতে শুধু টেষ্টিং করে টাইম পার করার চিন্তা।
জার্মানিতে এপ্রিলে একটা কথা প্রচলিত আছে-
এপ্রিল,এপ্রিল,এপ্রিল
ভাস মাখত এর ভিল
(মানে এপ্রিলে আবহাওয়ার কোন মা-বাপ নাই)
এসব প্রবাদ এখন শুধু মুখে মুখে। এখন মার্চেই আবহাওয়ার গতি বুঝা যায় না। গত সপ্তাহে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি। গতদিন লাঞ্চের পর হাটতে বের হয়েছি। হঠাত করে স্নো পড়া শুরু হলো।
কোন বিরতি ছাড়াই ১৫/২০ মিনিট পড়ার পর আবার আকাশ ফকফকা। আজকে আবার সকাল মাইনাস দিয়ে শুরু হয়েছে। নাস্তার টেবিলে ছোটবোন জিঞ্জেস করলো আমি কিভাবে অফিস যাবো। বল্লাম সব সময় যে রকম যাই। বলে আজকে নাকি বাস, ট্রাম, আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন ধর্মঘট।
বল্লাম এইটা ব্যাপার না। সবকিছুই আসবে হয়তো একটু দেরী হবে। এখানে এখন পর্যন্ত যতো ধর্মঘট দেখেছি সবই এইরকম। যে ট্রেন ১৫ মিনিট পরপর আসার কথা সেটা হয় ঘন্টায় আসবে।
ট্রাম স্টপেজে গিয়ে দেখি একদম ফকফকা।
বুঝলাম অবস্হা খুব একটা ভালো না। ম্যাসেজ বোর্ডে লিখা আজকে ট্রাম আসবে না। একই অবস্হা বাসেরও। অফিসে ফোন দিয়ে বল্লাম অবস্হা সুবিধার না। যদি আসিও তাহলে দেরী হবে।
বল্লো ব্যাপার না। টেক্সির জন্য প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে দেখলাম পাওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। বাসার দিকে ফিরতি হন্টন। আজকে অফিস কামাই। তবে অনেক ঘন্টা অতিরিক্ত আছে।
এখানকার সরকার এখন প্রাদেশিক নির্বাচনের পর কোয়ালিশন নিয়ে ব্যস্ত। বড় বড় কোম্পানির বস মিলিয়ন ইউরো মাসে কামায় আর সাধারন এম্পোয়ি থাকে পেঠে-ভাতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।