আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোলক



একটা অগ্নিকুন্ডের চারপাশে ফিসফাস হচ্ছে ক্ষুধার্তদের, সভাপতি ঝলসে যাচ্ছেন তার পালকবিহীন দেহ নিয়ে, সকলেই কি তার নিজস্ব অভাববোধের চুরান্ত পর্যায়ে স্বার্থপর হয়ে যায়?হঠাৎ স্ফুলিংগের মতো ষড়যন্তর ধরা পড়ে-দিগন্তের কাছে সীমানা ধার করে তারা, পাথর বা জড় পদার্থের যৌনতার ধর্ম বুঝতে পেরে তারা উৎপাদন করেছিলো পত্রঝরা আগুন, অশালীন ছায়াগুলো যে গুহার দেয়ালে প্রেতরুপ ধারণ করেছে সে বিষয়টি সকলে বুঝেছিলো আহার শেষে,তার আগে সেটি ছিলো শুধু ছায়াই-আর কিছু নয়। একটা জলাশয়ের চারপাশে হাটু গেড়ে মুখ নামিয়েছে তৃষ্নায় আধমরা কিছু মরুযাত্রী । চতুস্পদী সভাপতি পচে ভেসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সারা জলাশয়ে, কে কবে এমন তৃষ্নার্ত হয়েও জলের ময়লা দেখেছিলো চোখে। জল তবু আকাশের জলাশয় থেকে যখন ঘুরে আসে দেহের কাছাকাছি, আমরা তখন তাকে করপুটে ধরতে ব্যার্থ হই, বদ্ধ জলাধারে হঠাৎ যে আলোরন তাকেও কি ঢেউ বলি? এজন্য দায়ী যেসকল বাতাস তাদের আমি আজো দেখতে পারিনি, সেসব ঢেউ আধমরা ওইসব মরুযাত্রীদের ঠোটে ধরা দেয় বিশেষ ক্ষণে, আর সেসব ঢেউ বুঝি একটি মৃত সভাপতির দেহ থেকে উৎপন্ন! তৃষ্না নিবারণের পর মৃতদেহ চোখে পড়ে-আর কিছু নয়। অন্ধকারের গোলকধাঁধায় ঘুরছে যে পৃথিবীর শেষ প্রান্তের শেষ নিভনিভু আগুনও এড়ায়নি তার চোখে। কিংবা বৃস্টির সামান্য উপক্রমও বুঝি চাতক দেখছিলো আড়চোখে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.