বাংলার দালাল আমি। বাংলা মায়ের ভাল ছাড়া আমি কিছুই বুঝি না। পাকিস্তানী কুত্তারা দূরে থাকিস। । এখন আর মনে পড়ে না তোমায়।
।
কেনই বা মনে পড়বে তোমায়? মনে পড়ার কারণ তো তুমি নিজেই। মনে আছে কি নিষ্ঠুর ভাবেই না তুমি আমায় বলেছিলে কথাটি। কথা না আসলে, একটি শব্দ!!
মনে পড়ে সেদিনের কথা? সেদিন বৃষ্টির ফোটা পড়ছিল। সেই ফোটা ফোটা বৃষ্টির মধ্যেই তোমার প্রতীক্ষায় ছিলাম।
যেন দীর্ঘ এক প্রতীক্ষা ছিল সেদিন। প্রতিটি মিনিট আমাকে পেছনে ফেলে চলে যাচ্ছিল। প্রতিটি সেকেন্ড আমার কাছে ছিল অসহনীয়। । সেই দীর্ঘ যাতনা কেটে গিয়েছিল তোমায় দেখে।
তোমার স্নিগ্ধ মুখ দেখে ভুলে গিয়েছিলাম সবকিছু। এমনকি ভুলে গিয়েছিলাম তোমায় কি বলতে এসেছিলাম!
পাশ কেটে চলে যাচ্ছিলে তুমি। তোমায় চলে যেতে দেখে যেন হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেলাম। অনেক সাহস জুগিয়ে তোমায় ডাকলাম, “আনীলা...”
ফিরে তাকালে তুমি। স্নিগ্ধ কণ্ঠে বললে, “কিছু বলবে?” সেই মুহূর্তে যেন সবকিছু থেমে গেল।
আশেপাশের কোলাহল হঠাৎ বন্ধ! যেন কোন এক রোমাঞ্চিত দৃশ্যের অপেক্ষায় বিমুখ সবাই। । নীরব সবকিছু।
যেই আমি যেকোনো মানুষের সাথে কথা বলতাম অবলীলায়। যার মাঝে কোন জড়তা ছিল না।
কথা বলতাম হাস্যোজ্জলভাবে, সেই আমিই যেন তোমার সামনে এক জড় পদার্থ! তোমার সামনে যেন সকল ভাষা হারিয়ে ফেললাম। যা কিছু বলবো ভেবেছিলাম সবই যেন হারিয়ে গেল অজানায়...
তবুও জড়তা কাটিয়ে, সাহস জুগিয়ে কম্পিত স্বরে বললাম তোমায় আমার অনুভূতির কথাগুলো। তোমার উত্তরের আশায় যেন একযুগ অপেক্ষা করলাম। । তোমার যে হাসি আমায় প্রথম দেখায় বধ করেছিল সেই হাসির সাথে একটি শব্দের মিশ্রণই আমাকে দ্বিতীয়বার বধ করলো।
। কিন্তু এই ‘বধ’ যে বহু যন্ত্রণার, বহু কষ্টের। তোমার সেই শব্দটি যেন আমাকে ধরে নিয়ে ফেলে দিয়েছিল গভীর অন্ধকারে। তোমার সেই শব্দটি কি ছিল মনে পড়ে? শব্দটি ছিল ‘না’।
সেই হাসিমুখেই আমার সামনে দিয়ে তুমি হেটে চলে গেলে।
আশেপাশের মানুষগুলো যেন আবার তাদের কাজে যোগ দিল। রঙ্গমঞ্চের নাটক যে শেষ হয়েছে। বসে থেকে লাভ কি? কানে আবার বেজে উঠলো সেই পরিচিত কোলাহল। শুধু একটি পার্থক্য। তোমার জন্য প্রতীক্ষার মুহূর্তে তা ছিল আনন্দের, আকাঙ্ক্ষার।
কিন্তু তুমি চলে যাওয়ার পর তা ছিল তীব্র বিষাদের...
তোমার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দটি শোনার পর আমি যেন হয়ে গেলাম এ পৃথিবীর বাইরের কোন এক নিঃসঙ্গ অধিবাসী। বড় একা হয়ে গিয়েছিলাম আমি। নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার মতন কাউকেই যেন পাচ্ছিলাম না। আমার এত বন্ধু, সবার মাঝে নিজেকে অনেক ছোট মনে হচ্ছিল...
অনেক আবেগ, আনন্দ দিয়ে গড়ে ছিলাম আমার পৃথিবী যার অংশীদার হিসেবে একমাত্র তোমায় বেছে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম তোমার ও আমার মিলে গড়া পৃথিবীটা সুন্দর হবে, সুখের হবে।
তোমার প্রতি অদৃশ্য, অদ্ভুত, সুখের এক অনুভূতি থাকা সত্ত্বেও তোমাকে বলতে পারছিলাম না! কারণ আমার মাঝে ছিল তীব্র ভয় যদি তোমার পৃথিবীতে আমায় স্থান না দাও? তাহলে তো আমার পৃথিবীটাও আমার কাছে ছোট হয়ে যাবে...
যা ভয় পেয়েছিলাম তাই তুমি বাস্তবায়ন করেছিলে। তার ব্যতিক্রম তুমি করনি। আমার পৃথিবীটা যেন তুমি হাসতে হাসতেই দুমড়ে মুচরে ফেললে। আমি যেন হারিয়ে ফেললাম আমার সুন্দর, স্বপ্নের জগত।
সবকিছু ভুলে প্রথম থেকে নতুন করে পৃথিবীটা সাজাতে শুরু করলাম।
তোমাকে ভুলে পৃথিবী গড়তে রইলাম। তোমাকে স্বপ্নের বাইরে রেখে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। স্বপ্ন দেখতেই রইলাম। পৃথিবী সাজাতেই রইলাম...
এখন ভাবি আমার নতুন পৃথিবী আরও বিস্তৃত, আরও স্বপ্নিল, আরও আনন্দের। এখনও পৃথিবীটা সুন্দর করতে ব্যস্ত আমি।
কিন্তু অবাক হই যখন দেখি সেই তুমিই আমার পৃথিবীর অংশের আশায় পড়ে আছো। হয়তো আমি যেই ভয় পেতাম তুমিও এখন সেই একই ভয় পাও। ভাবো হয়তো আমিও এখন তোমার পৃথিবীটাকে পরিণত করে দিব সামান্য বস্তুকণায়। তাই তুমি হয়তো আমায় কিছু বলতে আসো না...
তোমার প্রতি আমার একটি অনুরোধ, আমার পৃথিবীতে জায়গা পাওয়ার আশায় এসো না। কারণ তোমার সুন্দর পৃথিবী গুড়িয়ে দিতে এখন আর আমি দ্বিধাবোধ করবো না!!
উৎসর্গঃ সেই "গোপনীয়" অনাকাঙ্ক্ষিত উত্তরদাত্রীকে...
- যে আমাকে পৃথিবীর বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল।
।
সাহায্য করেছিল বাস্তবতার স্বপ্ন দেখতে...!!
লেখকের কথাঃ আমি এক অখাদ্য লেখক। মাঝে মাঝেই এরকম অখাদ্য লেখার চেষ্টা করি!! কেউ আমার এই অখাদ্য খাইতে পারলে জানান দিয়েন। এরকম আরও অখাদ্য লিখতে inspired হব!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।