গভীর কিছু শেখার আছে ....
১. ঢাকা শহরে ইদানীং ব্যস্ত রাস্তাগুলোকে ভিআইপি সড়ক বনিয়ে অযান্ত্রিক যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে আগে রিকশাওয়ালারা দূরের মোটা অংকের খ্যাপ মারতে পারলেও এখন আর তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না। অলি-গলি ঘুরে হয়তো দূরের খ্যাপ মারার যদিও বা সুযোগ আছে, তবে অধিকাংশ মানুষই সময় ক্ষেপন করতে ওতো অলি-গলি ঘুরতে চান না। এজন্য ইচ্ছায়ই হোক আর অনিচ্ছায় হোক শহরের মানুষদের এখন বাসে ভ্রমণের হার পূর্বে তুলনায় যে বেশ বেড়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
২. এর ফলে যে রিকশার হার কমেছে এটা কিন্তু ভুল।
বরং বেড়েছে এবং বাড়ছে। এর সঙ্গে বেড়েছে ভিক্ষুক এবং সাহায্যপ্রার্থীদের সংখ্যা। সাধারণ মানুষজনও হয়তো আগের চেয়ে ইচ্ছায়, কখনো বা অনিচ্ছায় দান করছে!
********************************************************************
এবার উপরের বিষয় দুটোর মাঝে লিংক করা যাক।
স্বল্প দৈর্ঘ্যের মধ্যে চলাচলকারী রিকশাগুলোর ভাড়া সীমিত থাকে ৬-১০ টাকার মধ্যে। আর এ কারণে দেখা যায় গন্তব্যে পৌঁছে রিকশাওয়ালার কাছে যাত্রী যদি ১০ থেকে যে কোন অংকের নোট দেন আর রিকশাওয়ালার কাছে যদি ভাঙতি না থাকে তবে সৃষ্টি হয় দারুণ এক বিড়ম্বনার।
এক্ষেত্রে সাহায্যকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে ভিক্ষুক অথবা সাহায্যপ্রার্থীরা!
১০ টাকা কিংবা ৫ টাকার ভাংতি যে আপনার প্রয়োজন তা বুঝতে আশে-পাশের কারো বেগ পেতে হয় না। এজন্য যখন দেখবেন ভাংতি নিয়ে কেউ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই রিকশাওয়ালাকে ভাড়া ৬ টাকা দিয়ে সেই ভিক্ষুক অথবা সাহায্যপ্রার্থীকে ১/২ টাকা না দিয়ে পারা যায় না।
হাজার হোক বাঙ্গালী আমরা!
আমাদের চক্ষুলজ্জা অনেক বেশি!!
এক পদের খাবার দিয়েও যে মানুয়ের ক্ষুধা নিবারণ সম্ভব তা আমরা জানি-ই না!!!
এ কারণে রাস্তার সংকট থাকলেও রিকশার মতন ভিক্ষুক অথবা সাহায্যপ্রার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছে। অথচ রিকশাওয়ালারা খেটে খায়, আর ভিক্ষুক ও সাহায্যপ্রার্থীরা বিনা খাটনিতে এ জাতীয় ইনকামের প্রতি উৎসাহিত হয়। এখানেই রিকশার সঙ্গে ভিক্ষুক ও সাহায্যপ্রার্থীদের তফাৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।