আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা, আর কত কাল আমি রব দিশেহারা।
বার্ড ফ্লু-এক আতঙ্কের নাম। ভয় পাবার কিছু নেই, যথাযথভাবে রান্না করে খেলে ক্ষতির সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ। আজকে বার্ড ফ্লু সম্পর্কে কিছু বিষয়ে আলোচনা করব:
বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েন্জা ভাইরাস প্রধাণত বংশবিস্তার করে পাখির দেহে। তবে ইদানিংকালে এর প্রকোপ মানুষের উপরও পড়েছে।
এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি এবং ক্রমাণ্বয়ে তা বংশবিস্তার করে পাখি বা মানুষকে মেরে ফেলে।
বার্ড ফ্লু'র উপসর্গ সাধারণত সংক্রমনের ১ থেকে ৫ দিন দিনের মধ্যে প্রকাশ পায়। এগুলো হল: জ্বর, কাশি শুষ্ক গলা ও শরীর বেদনা। এছাড়া, ভাইরাল নিওমোনিয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাসের তীব্র প্রদাহ উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
১৯৯৭ সালে হংকং এ মারাত্মক আকারে বার্ড ফ্লু দেখা যায়।
তখন থেকেই এর উৎস সন্ধানে মানুষ ব্যস্ত হয়ে উঠে। এটি প্রধাণত হয় পাখির লালার মাধ্যমে। বিভিন্ন ভাবে লালা ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে এবং একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে রান্না করে খেলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা যায়। তাই যেসব স্থান থেকে ভাইরাস ছড়ানোর কারন আছে, সেসব স্থান থেকে দূরে থাকা ভাল।
ওসেলটামিভির ও জানারমিডির ড্রাগ দিয়ে বার্ড ফ্লু দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
যদিও, এটা ততটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারছে না। ভ্যক্সিনও তৈরী করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এসবের যথাযথ প্রয়োগ সাফল্যমন্ডিত হোক-এই আশাই আমাদের কাম্য।
পাঠক, আশা করি আপনারা বার্ড ফ্লু কবল থেকে বেঁচে থাকবেন এবং আমিও বেঁচে থাকব। সবার সুসাস্থ্য কামনায় আজকের পোষ্ট শেষ করছি।
শুভরাত্রি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।