এখনও নির্জন দিন তোমার আঘ্রান নিয়ে আসে
গত বেশ কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বার্ড ফ্লুর মরক দেখা দিয়েছে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ,দিনাজপুর এর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই ভয়াবহ রোগ ছড়িয়ে পরেছে।
ভয়ে লোকে মুরগির মাংস , ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
কিছুদিন আগেও যারা ডবল ডিমের অমলেট ছাড়া প্রাতরাশ করতে পারত না, বা প্রতিদিন ডিনারে একটা মুরগির ঠ্যাং না চিবোলে যাদের ভাত হজম হত না, তারাও আজ আতঙ্কে শাকাহারি ভজনের গুণকীর্তণে মগ্ন।
বিভিন্ন জেলায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মীরা মুখোশ , দাস্তানা ইত্যাদি পরে মুরগি নিধনে ব্যস্ত।
এর মধ্যেই কোন কোন জায়গায় কিছু অদ্ভুত ছবি চোখে পরছে।
সমাজের প্রান্তিক মানুষেরা , যারা হয়ত সারা জীবনে হাতে গন কয়েকবার মাংস খাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন, তারা আজ সেই সব মেরে ফেলা, কবর দেওয়া মুরগিগুলোকে মাটি খুঁড়ে বার করে রান্না করে খাচ্ছেন।
চরম বিপদ জেনেও।
কোন সংবাদপত্রের সাবধানবানী তাদের নিরস্ত করতে পারছে না।
দারিদ্র মানুষকে কতটা বেপরয়া করে দেয় এটা তার একটা জলজ্যান্ত নমুনা।
এই দৃশ্য কি আমাদের খুবি অপরিচিত?
দুর্ভিক্ষের সময় একিভাবে আস্তাকুড় ঘেঁটে খাওয়া নিরন্ন মানুষের ছবি কি আমরা দেখিনি।
সত্যিই কি কিছু বদলেছে?
পুজিঁবাদী বিশ্বায়নের মেকআপ মাখা উদারনৈতিক মুখের পেছনে সভ্যতা কি তার মুখের দগদগে ঘা গুল মুছতে পারবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।