আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যবিত্ত প্রবাসী পরিবার- একটি ছোট ছেলের হঠাৎ বড় হয়ে যাওয়া!

আজও নিজের মাঝে অসাধারণতার ছাপ খুঁজে বেড়াই কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে খুব সাধারণরূপে আবিষ্কার করি। মন্দ কি...ভালই তো আছি।

- কিরে বাবা মন খারাপ? - না মা…কেন?? - কি হয়েছে তোর আমাকে খুলে বল তো। - আমি সত্যি বলছি মা আমি একদম ঠিক আছি। - তাহলে সারাদিন এত চুপচাপ থাকিস যে? তুই তো কখনও এমন ছিলি না! - কি যে বলনা তুমি? কথা বলব যে তারও তো একটা কারণ থাকা চাই তাই না?? - কি জানি বাপু।

তোরে এরকম গোমড়া মুখে দেখতে আমার একদম ভালো লাগে না। - গোমড়া মুখ কই? এইযে হাসলাম হাহাহা। - শয়তান ছেলে। আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি খাবি আয়। মধ্যবিত্ত এক প্রবাসী পরিবারের সবার ছোট ছেলে সজল।

তার বড় দুই বোন এখনও বিয়ের বাকি। আসলে 'মধ্যবিত্ত প্রবাসী' শব্দ দুটো একসাথে একেবারেই যায় না। সজল এর সত্যতা খুঁজে পায় যখন প্রায়শই বন্ধুরা আড্ডার ফাঁকে বলে উঠে "ধুর বেটা তোর বাপের বিদেশী পয়সা আর তুই এটা কি এক মান্ধাতার আমলের সেট চালাস!" অথবা কখনও "আরে এবার একটা ল্যাপটপ কিন। আর কত কিপ্টামি করবি তুই হ্যাঁ?" নাহ্ִ এসব কথা সজলের কান ভেদ করে মস্তিষ্কের নিউরনের গতিবেগ এতটুকুও বাড়িয়ে দেয় না। বরং এক মুচকি হাসিতে সুকৌশলে এড়িয়ে যায়।

সে এখন নিজেকে আগের থেকে অনেক গুটিয়ে নিয়েছে। ইদানিং বন্ধুদের আড্ডায়ও তার অনুপস্থিতির সংখ্যা ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে। সারাক্ষণ ঘরে চিন্তিত মুখ করে বসে থাকে আর কি যেন ভাবে। এগুলো তার মাকে নিরবে কাঁদায়। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে ছেলেকে কান মলা দিয়ে জিজ্ঞাস করতে "ওই তুই কি বুদ্ধিজীবী হয়ে গেসিস? এক থাপ্পর দিয়ে সব দাঁত ফেলে দিব।

খবরদার এরকম চ্যাপা পিঠার মত মুখ বানিয়ে রাখবি না। ছ্যাকা খাইছিস নাকি! মেয়েটাকে আমার কাছে নিয়ে আসিস তো। আচ্ছামতন বকে দিব। " পরক্ষণেই নরম শাড়ির আচলে চোখ মুছে ছেলের দিকে নির্বিকার তাকিয়ে থাকেন রাহেলা বেগম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।