দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে
আমাদের সৃষ্টিকর্তা তাঁর পাঠানো গাইড বুকের সুরা হুজরাতের ১২ নম্বর আয়াতে গীবত করতে নিষেধ করেছেন। সেখানে আছে...........
"হে ঈমানদার লোকেরা, বেশি ধারণা ও অনুমান থেকে বিরত থাকো। কেননা কোন কোন ধারণা-অনুমান পাপ। আর দোষ অন্বেষণ করোনা। এবং তোমাদের কেউ যেন কারও গীবত না করে।
এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? তোমরা নিজেরাই তো এর প্রতি ঘৃণা পোষণ করে থাকো। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু। "
তাঁর পাঠানো গাইড গীবতের সংজ্ঞা দিয়েছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গীবত কাকে বলে? জবাবে তিনি বলেন, কারো সম্পর্কে তোমার এমন কথা বলা যা তার পছন্দ নয়।
সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, যদি আমার কথা সত্য হয়? তিনি জবাব দিলেন, তোমার কথা মিথ্যা হলে তো সেটা অপবাদ।
সংক্ষেপে বললে যা দাঁড়ায়, কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষ অন্যের কাছে বলা যা শুনলে সে অপছন্দ করত।
কোন সমাজবিজ্ঞানী এটাকে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন বলে আমার জানা নেই। অনেক বড় বড় অপরাধের জন্ম দিয়ে থাকে এই গীবত। চমৎকার এক যৌক্তিক বিশ্লেষণ আছে এর মধ্যে।
গীবত যখন করা হয় তখনই দোষের উৎপত্তি হয় না, দোষটাকে ছড়ানোর মাধ্যমে মানুষে মানুষে অবিশ্বাস গড়ে তোলা হয়। আমরা তৈরি করা এমন একটা কেস স্টাডি করি। ধরুন, তিনজন ব্যক্তি ক, খ এবং গ এক জায়গায় আছে। ঘটনাক্রমে ক একটি অপরাধ করল। ক, খ এবং গ কিন্তু দেখবে পুরো ঘটনা এবং পরিবেশের বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
এখন গ যদি এই দোষটা তৃতীয় একজন ব্যক্তিকে বলে যেটা জানলে ক অসন্তুষ্ট হত, তবে তৃতীয় ব্যক্তিটি নিশ্চয়ই ঘটনাকে খ এবং গ এর দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে নিবে না। ক সম্পর্কে সে একটা ধারণা লাভ করবে, যা ক'কেও হয়ত সে বলবে না। এই যে পর্দার আড়ালে এত কিছু ঘটে গেল ক কিন্তু কিছুই জানল না।
পক্ষান্তরে, ক এর সাক্ষাতে খ ঐ ব্যক্তিকে সেই দোষ সম্পর্কে বললে ক নিশ্চয়ই ক্লারিফিকেশন করার সুযোগ পেত। ফলে যেটা হচ্ছে, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ক এর সাথে ঐ ব্যক্তির একটা দুরত্ব তৈরি হচ্ছে।
মানুষে মানুষে একবার সন্দেহ সংশয় দানা বাঁধলে তা সহজে শোধরানো যায় না।
ডেফিনিটলি, মারাত্নক গুরুতর অপরাধ তৈরি হচ্ছে এই গীবতের মাধ্যমে। যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন তিনিই তো ভাল জানবেন কোনটা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। কয়জন মানে সেই স্রষ্টার কথা? মানুষের জন্য নিদারুণ আফসোসের ব্যাপার।
আসুন, আমরা আমাদের সমাজকে সুন্দর করি।
ভালোবাসার বন্ধনে সিক্ত করি সবাইকে। এ কাজে যেখানেই যে উপাদান পাই দ্বিধাহীন চিত্তে তা গ্রহণ করি। সকলের কমন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।