মুর্খদের সাথে তর্ক করতে ভাল্লাগেনা,মুর্খ দের এভয়েড করতে ভাল্লাগে হেমলক সোসাইটি বাই শ্রিজিত মুখার্জি।
অবশেষে এই এক কলকাতার নতুন ছবির একটা আমাকে ইমপ্রেস করলো। হিলারিয়াস এবং প্যাশনেট একটা ছবি। চমতকার কিছু পারফর্মেন্স। আইডিয়াটাও খুব ভালো লেগেছে।
চমতকার কন্সেপ্ট। চমতকার কিছু পার্ফরমেন্স। পরমব্রত তো ফাটিয়ে দিয়েছে। কোয়েলের অভিনয় ভালো লেগেছে। অন্যান্য চরিত্ররাও বেশ ভালো পার্ফরমেন্স দিয়েছে।
সংলাপ গুলো ভালো ছিল। যদিও কিছু ভাড়ামী ও ইংরেজী সংলাপ বিরক্ত করেছে। ইংরেজী গুলা শুনলে মনে কানে ঝাটার কাঠি ঢুকায় রাখি। এত কৃত্রিম। মাঝে মাঝে মনে ব্যাপারটা আইরনি হিসেবে প্লে করে হয়তবা।
ডিরেকশন চমতকার। সিনেমাটোগ্রাফী অসাধারন। সসাধারন লেগেছে শেয়ারিং এর সিনগুলো। রুম টা চমতকার করে সাজিয়েছে। ক্যামেরা এঙ্গেল গুলোও অসাধারন লেগেছে।
আর পরম্ব্রত আর কোয়েল এর শেষ ক্লাইমেক্স টা চমতকার ভাবে হ্যান্ডেল করেছেন ডিরেক্টর। ডেথ নোটের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল হঠাত। সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে।
গানগুলা যদিও আমার ভালো লাগেনাই। সিনেমাতে গান ও মিউজিক ভিডিও টাইপ ভাব আনলেও ভালো লাগেনা।
ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর চমতকার।
সবশেষে বলব এটা একটা রাফ রিভিউ টাইপ লেখা। সিনেমাটা নিয়ে কিছু কথা বলতে চেয়েছি শুধু। চমতকার মেসেজ সিনেমাটার। হতাশা দূর করে দেয়ার জন্য ভালো অষুধ।
আর মেসেজটা মুখের উপর ছুড়ে মারাতে ভাল হয়েছে। যারা দেখছেন তারা ফিল করবেন বেচে আছি বেশ আছি।
লেখাটা শেষ করছি একটা মন খারাপ করা খবর দিয়ে। আজ প্রথম আলো তে দেখলাম কামরুজ্জামান কামু র দি ডিরেক্টর ছবিটাকে সেন্সর বোর্ড ছাড় দেয়নি বেশ কিছু খোড়া যুক্তি দিয়ে। বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ড এক অদ্ভুত জায়গা।
হ্যা তারা অশ্লীলতা কমাচ্ছেন। আগের মত বড় বড় স্তন বের করে থাকা মহিলাদের পোস্টার গুলাতে তেমন দেখিনা। মুনমুনের,পলির স্তন নৃত্য তেমন দেখা যায়না। কিন্তু অশ্লীল বৃষ্টিভেজা গান এখনো বন্ধ হয়নি। ছোট ছোট কাপড় পরা হাজার হাজার মেয়ের অশ্লীল নাচ ও বন্ধ হয়নি।
নতুন রূপে এসেছে এরা। কাহীনির সাথে সম্পর্ক যে কোথায় এগুলোর খোদা জানে। আমাদের দেশে অতি সত্বর রেটিং সিস্টেম চালু করা দরকার। নাহয় আমাদের দেশের সেন্সর বোর্ডের হিসাবে Forest Gump রেও কাইট্টা কিছু রাখবো না
“৫মিনিটের বৃষ্টিভেজা নাচের চেয়ে এক মিনিটের চুমু কি ভালো নয়?”-অধ্যাপক আহমেদ শরীফ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।