যেতে হবে বহুদূর
‘ছোড ছোড ঢেউ তুলি পানিত/ লুসাই পাহাড়ত্তুন লামিয়ারে/ যার গই কর্ণফুলী।/ ...পাহাড়ি কন সোন্দরী মাইয়া/ ঢেউঅর পানিত যাই/ সিয়ান গরি উডি দেখের/ কানর ফুল তার নাই/ যেইদিন কানর ফুল হাজাইয়ে/ হেইদিনত্তুন নাম কর্ণফুলী...’ (পানিতে ছোট ছোট ঢেউ তুলে লুসাই পাহাড় থেকে বয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলী/ পাহাড়ি এক সুন্দর মেয়ে ঢেউয়ের পানিতে স্নান সেরে ওঠে দেখে তার কানের ফুল নেই, যেদিন থেকে হারিয়েছে কানের সেই ফুল সেদিন থেকে নাম কর্ণফুলী)
ক্যাসেট প্লেয়ারে বেজে চলেছে গানের পর গান। চঞ্চলা তরুণী শুনছে ‘ওরে সাম্পানওয়ালা/ তুই আমারে করলি দেওয়ানা...’ কিংবা আমুদে তরুণের মুখে অহর্নিশ ফিরছে সেই একই গানের লাইন- ‘হেডমাস্টরে তোঁয়ারে তোয়ার’। সবখানে একই চিত্র। দেশের পূর্বকোণে গান নিয়ে এ এক আলাদা সংস্কৃতি, আরিক অর্থেই। একান্তভাবে চট্টগ্রামের অধিবাসীদের জন্যই এসব গান রচিত এবং তাদেরই নিজস্ব সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ‘চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান’। তাতে যেমন আছে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, তেমনি তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি- অল্পকথায় সমসাময়িক ইতিহাস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।