আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিলিটারি ট্রেনিং ও আমাদের কাপ্তান সাহেব।

তোমার অস্তিত্বে সন্দিহান, তবু্ও সদাই তোমায় খুঁজি

গত টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্বে আমাদের ক্রিকেটারদের দেখে যারপরনাই হচকিত হয়েছিলাম। একদল সৈনিকের পোষাকে সজ্জিত পরিচিত ক্রিকেটারদের অপরিচিত লাগতেছিল। প্রথম বুঝেছিলাম এরা হয়ত সেনাবাহিনীরই সদস্য। ভাল করে পর্যবেক্ষণের পরে বুঝলাম এরা আমাদের সোনার ছেলেরা। ব্যাট বল ছেড়ে ক্রিকেটারদের এরকম ট্রেনিং এর কি প্রয়োজন তা আমার মাথায় আসলনা।

জরুরী প্রয়োজনে কিংবা যুদ্ধকালীন সময়ে অথবা কোনো কারণ ছাড়াই জীবনের একটা পর্যায়ে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার প্রথা পৃথিবীর অনেক দেশেই চালু আছে। বাংলাদেশে এ রকমের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না বিধায় আমার মনে হল সম্ভবত সেনা পাওয়া যাচ্ছেনা বলে বুশ সাহেবের রিকুজিশনের প্রেক্ষিতে এদেরকে ইরাকে পাঠানোর পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এ ট্রেনিং। আবার মনে হলো সম্ভবত দেশের সবক্ষেত্রে সব পর্যায়েই যেহেতু শৃংখলা ও দুর্নীতির প্রতিরোধে উনারা প্রবেশ করছেন এবং সম্ভবত সেনাসদ্স্যদের ক্রিকেট দলে ঢুকার সুযোগ নেই বিধায় ক্রিকেটারদেরই সেনাবাহিনীতে ঢুকানো হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এক জ্ঞানী লোক আমাকে প্রকৃত কারণ বুঝিয়ে বললেন, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ নিলে ক্রিকেটারদের স্টেমিনা বাড়বে এবং তারা মাঠে ভালো পারফর্ম করে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকেও কাবু করতে পারবেন। ভদ্রলোকের কথা যে একবারে শতভাগ সাচ্চা তার প্রমাণ দিনকয়েক পরেই মিলল।

কারণ টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর আমাদের কাপ্তান সাহেব স্বগর্বে তাদের এ জয়ের রহস্য উম্মেচন করে বললেন, মিলিটারি ট্রেনিং এর কারণে তাদের এ অসাধ্য সাধন। পরবর্তীতে অবশ্য দুটো ম্যাচে যথারীতি রামধোলাই। মহামান্য কাপ্তান সাহেব অবশ্য এর কোনো কারণ খুঁজে পেলেন না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার তখন মনে হয়েছিলো দৈবক্রমে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটে এবং এ পরাজয়ই সম্ভবত এ দৈবদুর্যোগেরই একটা অংশ। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড সফরের কথা উল্লেখের কোনো প্রয়োজন নেই।

ধোলাইয়ের পর্যায়ে ফেললে এটাকে রামধোলাইয়ের চেয়ে ভিন্ন কিছু বলাই প্রাসঙ্গিক। পরাজয়ের পোস্টমর্টেমে অনেক কিছুই বলা হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় আমাদের সোনার ছেলেদের এ মিলিটারি প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়নি। তাই টেস্ট সিরিজে অন্য কোনো ভিন্নমাত্রার ধোলাই খাওয়ার পূর্বেই সোনার ছেলেদের দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রেনিংটি যথাযথভাবে সুসম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ ট্রেনিংয়ের অংশ হিসেবে সেনাক্যাম্পে উনাদেরকে উল্টো করে টানিয়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

এতে স্টেমিনা বাড়ার পাশাপাশি তারা ক্রিকেট বল কীভাবে পেটাতে হয় সে কৌশলও রপ্ত করতে পারবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.