Disclaimer: All writtings contain severe spelling errors. নিজ গুনে ক্ষমা করে পড়বেন।
আজকাল বড্ড অধর্য্য হয়ে উঠচ্ছি আমরা। একটুতেই রাগ হয়ে যাই। ট্রাফিক সিগ্নালে বেশিক্ষন আটকে থাকলে বিরক্তি, ফোনের লাইন না পেলে বিরক্তি, বিল জমা দেবার লাইনে দারিয়ে বিরক্তি, ভিরের মধ্যে কারো সাথে সামান্য ধাক্কা লাগলে বিরক্তি। এসবের সাথে সঙ্গত হিসেবে আচ্ছে- অফিসের প্রমশন টা পেতে পেতে ফস্কে যাওয়ার আক্ষেপ, কলিগ হাইটেক মোবাইল কিনলে বুকের মধ্যে একটু খচখচানি, এরকম আর কত কি! এমনি ছোটখাট নানা বেপারে মাত্রা বোধ হারিয়ে প্রচন্ড রেগে উঠছি আমরা, হিংস্র হয়ে উঠচ্ছি ক্রমশ।
সফিস্টকেশনের আড়ালে জ্যান্ত মুখ টা বেরিয়ে আসছে প্রকাশ্যে। চাই, চাই . . . আর চাই। পেতেই হবে . . কেন পাব? একোন অজানা অন্ধকারের উদ্দেশে দোউরাচ্ছি আমরা জানি না। এই আমরাই কিন্তু অবলীলাকর্মে চুপ করে থাকি। যখন রাস্তাঘাটে আমাদের চোখের সামনে উত্তক্ত করা হয় কোন মহিলাকে, দিন দুপুরে পুলিশ ঘুশ খাচ্ছে দেখেও দেখিনা, ডাক্তার/শিক্ষকেরা তাদের পেশার চুরান্ত আবমান্যতা করছেন দেখেও একটা কথা বলি না আমরা।
কেও যদি প্রতিবাদ করেনও, দূরে দারিয়ে মজা দেখি। তার পাসে দাড়াবার সাহস বা ইচ্ছে কোনটাই আসে না আমাদের। আজ আমাদের আকাশ দেখার সময় নেই, সময় নেই প্রিয়জনদের দুইলাইন চিঠি লিখবার। চরম আত্তকেন্দ্রিকতা আর সার্থপরতার এই নির্লয জীবন ঠেলে ঠেলে চলছি প্রতিনিয়ত। ভবিষ্যত কোন দিকে নিয়ে যাবে আমাদের?!সভ্যতার মর্মে আজ ক্লান্তি এসে গেছে।
যেদিকে তাকাই কম বেশি সবারই সমশ্যা। কারন খুঁজতে যাওয়া আটলান্টকের গভিরতম কোনের রহস্য খুঁজতে যাবার মতই দুরুহ। কিছুটা হয়ত অসম্ভব তবু ভাবি। কি অর্থ এমন জীবন টেনে চলে বেরানর! কেন এলাম, কি বা করলাম, কি চেয়েছিলাম বা কি পেলাম সে প্রশ্ন আলাদা। চাওয়া পাওয়ার হিসেব হয়তো কনদিনই মেলেনা।
কিন্তু জিবন ত নিশ্চয় কিছু দাবি রাখে! সেখানেই বা কতটুকু কি করতে পারলাম? কিছু জাগতিক নিয়মবদ্ধ কাজ কর্ম, অব্বাস, ব্যাস!
এভাবেই ঘুর্নাবরতে হারিয়ে গিয়ে শেষে একদিন আবিষ্কার করা সময় ফুরিয়ে এল , এতদিনের পিছুটান, কর্তব্য, বাধন, সুখ-দুখ- এসবের কিছুরই মুল্য সেই চরম বিন্দুতে নেই।
তবে কেন এই মহগ্রস্ততা!? খুব ভাল করেই জানি, এ কোন নতুন প্রশ্ন উদ্ভাবন করিনি। চিরকাল, চিরদিন মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে এসেছে। কেন নিজের মত করে খুঁজে নিয়েছে কেও বা অনিশ্চিত হয়েই চলে গেছে। আমিও হয়ত তাই যাব।
সুখ চাইনা, শান্তি চাই। কিন্তু সেটাও কি মেলে? কি জানি! হয়ত ‘চাই’ বলে। কিছু চাইলে সেটার ভার ক্লান্ত করা শুরু করে। যা আসে তাকে সহজ ভাবে নিতে পারলে হয়ত এমনটা হয় না।
সব আলো আধারের খেলা, অস্পস্ট, আবছা।
সেদিন রাতে বারি ফেরার পথে অন্ধকার হল। দেখছিলাম দুরকম অন্ধকার। কাছের আর দুরের। দুরের যে অন্ধকার সেতো পুরোই কালো, নিকোষ, কিন্তু কাছেও অন্ধকার! বুঝা মুশকিল। দুরের অন্ধকার কে নাহয় ভয় পেলাম না।
কিন্তু কাছের অন্ধকারের সামনে তো ভয় করতেই হয়। এরাবার পথ কই? আবছায়াতে পথ খুঁজে নিতে গিয়ে ভুলেরও সম্ভাবনা প্রচুর। ঠিক এরকম অন্ধকার তো মনেও। কোনটা আবছা, কোনটা ঘন? অন্ধকারের শিড়ি হাতরে মরে হাপিয়ে উঠেও হয়ত জিবনে পথের খোঁজ পাওয়া যায় কিন্তু মনের অন্ধকারের কাছে অসহায় লাগে।
একদিন কেও বার্তা নিয়ে আসবে
সৃষ্টি কাঁপিয়ে রক্তধারায় ডাক পাঠাবে
চলে এস . . .
মুহুরতে তুচ্ছ করব
সীমান্তের রক্তিম রেখা
সাক্ষ্যের প্রয়াকাশে নিরাপত্তা
এখন শুধু প্রতিক্ষা।
একদিন কেও আলো হয়ে আসবে
আলতো হাতে দুচোঁখের পাতা ঢেকে
এক মুঠো জুঁইফুল আঁচলে দিয়ে বলবে,
মা, স্বপ্নগুলো নাও . . .
সেদিন একশো শ্রাবন হয়ে কাঁদব
এখন শুধু প্রতিক্ষা।
একদিন কেও জোয়ার নিয়ে আসবে
হৃদস্পন্দে প্লাবন তুলে বলবে
এস মরে যাই . . .
কাস্তুরিগন্ধে ভরা সেই লগ্নে আবার জন্ম নেব
এখন শুধু প্রতিক্ষা।
অগ্রহায়ন ২১ , ১৪১৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।