আমরা বান্গালীরা সকল সময়ে অভিযোগ করতে ভালবাসি। আমাদের জাতিগত সীমাবদ্ধতা আমাদের মতে সকল কিছুই অন্যদের দোষ। আমরা সকল সময়ে প্রাইভেটজসনের বিরুদ্ধে বলি কিন্তু ভুলি যায় বিদ্যুত বাংলাদেশী একটি অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য তাই সরকার নিয়ন্ত্রন করে তাই চাহিদা আর যোগানের বিশাল অসমতা, আর সেল ফোন যা কিনা বিলাসিতা তাই বেসরকারী সেক্টরে আর তার চাহিদা এবং যোগানের কি সুন্দর সমতা। আমরা একটি কঠিন দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, আমাদের সম্পদ সীমবদ্ধ, আমাদের হয়তো ৫,০০০ বন্গ সন্তানকে কবর দিতে হবে, বাচিয়ে রাখতে হবে ২৬ -৫০ লাখ লোককে। এসময় আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সকল সাহায্য গ্রহন করে বেচে থাকা।
সাহায্যের কি চড় আর কি অপমান তা পরের বিচার। বিপদের দিন যদি কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে আর আমরা যদি ভুল করে তার উদ্দেশ্য বিধেয় নিয়ে চিন্তা করি সেটা আমাদের ক্ষুদ্রতা প্রমান করে আরও প্রমান করে আমাদের ভুল।
তীরন্দাজ আপনি ভুল বলছেন, এসব সময়ে সাহায্য আসে রিপ্লেসমেন্ট ভ্যালু অনুযায়ি, একটি কাচা বাড়ীর পুর্ননির্মান করতে জন্য ২০০০ ডলার সাহায্য যথেষ্ট। এসব সময়ে যে সম্পদ রিপ্লেস করতে হবে তার শ্রম মুল্য, কাচা মালের দাম এসবের উপরে ডিপেন্ড করে বিদেশী সাহায্য কত হবে, আপনার জিডিপির ওপরে নির্ভর করে নয়। আর বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে শ্রমের দাম তুলনামুলক ভাবে কম সাহায্য ঠিক সে পরিমানে আসবে।
সুনামীতে ভারতের বেশীরভাগ ক্ষতি হয়েছে আন্দামনে যেটা ভারত নিজ সম্পদে পুর্ননির্মান করতে পেরেছে, আমাদের ব্যাপারে সেটা ভিন্ন কেননা আমাদের ছোট দেশের প্রায় ৫০ ভাগ এফেকটেড তাই সাহায্য ডিনাই করার মত বিলাসিতা আমরা করতে পারিনা। আমাদের সাহায্য যতটুকু আসবে বাইরে থেকে তার পুরোটা সতব্যবহার করাটাই হওয়া উচিত আমাদের লক্ষ্য, এর সাথে আমাদের গ্লোবাল কন্ট্রিবিউসনের কোন যোগ নেই, আচে, আমরা কি সম্পদ হারিয়েছি আর তার রিপ্পলেসমেনট ভ্যালু কি? আবেগ দিয়ে বিশ্লেষন করে ব্লেইম করা সহজ!
আবারও বলি, সব ব্যাপারে পশ্চিমা দেশ আর সাহায্য সংস্হাকে ব্লেইম করা একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে আমাদের দেশে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা প্রতিটি দুর্যোগে এরা সবার আগে এগিয়ে আসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহয্যে উপকুলে নির্মিত শেল্টার গুলো আমাদের প্রানহানীর সংখ্যা কম রাখতে সাহায্য করেছে। উপকারীর উপকার স্বীকার করতে শিখুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।