আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্ধ আক্রোশে ইউনূসকে অপমান: বিএনপি

বুধবার এক বিবৃতিতে দলের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ‘অন্ধ প্রতিহিংসা’ থেকে নোবেলজয়ী এই বাংলাদেশিকে ‘অপমান’ করছে।  
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অপসারণের পর সম্পর্কে জটিলতার মধ্যে গত সোমবার মন্ত্রিসভা ইউনূসের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে আয়কর অব্যাহতি নেয়া, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
তিন বছর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের পদ থেকে সরানোর পর থেকে এ্ই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করে আসছেন ইউনূস। উল্টো দিতে তার সমালোচনা করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে ইউনূসের অবস্থানের সমর্থক বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ওপর অন্ধ প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মেতে উঠেছে।

আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এই ব্যক্তিত্ব দেশে সরকারের দ্বারা প্রতিনিয়ত অসম্মানিত ও অপমানিত হচ্ছেন।
“এখন মনে হয় সরকার আরো হেনস্তা করার জন্য তড়িঘড়ি করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এহেন বিদ্বেষমূলক আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সরকারকে বলব, এই পথ থেকে সরে আসুন। ”
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি) ফখরুল বলেন, “সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুহাম্মদ ইউনুসকে হেনস্তা করার জন্য এহেন কাজ নেই করেনি।

গ্রামীণ ব্যাংকের ন্যায় একটি আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। ”
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি)
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে সম্প্রতি ইউনূস বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর নয়।
তার এই বক্তব্য বিএনপির প্রতি সমর্থনের প্রকাশ অভিহিত করেও এর সমালোচনা করে আসছেন সরকারি দলের নেতারা।
“ড. ইউনূসের মতো দেশের একজন কীর্তিমান ব্যক্তি যদি হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হন তাহলে বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষ কত অসহায় অবস্থায় আছে তা সহজেই অনুমেয়,” বলেন বিএনপির মুখপাত্র।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।