মানুষ হয়েও মানুষ হতে হয় পুনরায়। বেশ কিছুদিন ধরে সিলেটে শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রজুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে কিছু ধর্মান্ধ শিক্ষক ও ছাত্র মিলে বিরোধীতা করছেন। তাদের মতে, তাদের এই পুণ্য ভুমিতে কোনও মূর্তি (!) স্থাপন করা যাবেনা। প্রশ্ন জাগে- তারা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত নাকি কু-শিক্ষায় শিক্ষিত। একজন বিজ্ঞান ও প্রজুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিভাবে এতটা হীনমন্যতা নিয়ে শিক্ষকতা করছেন তা কারো বোধগম্য নয়? কিভাবে তাকে শিক্ষক বলা যায় যে কিনা মূর্তি ও ভাস্কর্যের পার্থক্য বুঝেনা।
এই সকল শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার আগেই ভাবা উচিত যে, তারা কোন ধাঁচের।
ধর্ম নিয়ে কথা বলতে চাইনা- কিন্তু ধর্মান্ধরা ই যখন ধর্ম কে সব কিছুর সামনে তুলে ধরে তখন ধর্ম কে ন্যাংটা না করে উপায় কি?
ধর্ম নিয়ে তাদের এত মাথাব্যাথা যদি থেকেই থাকে তবে তারা কেন সিলেটের মত পুণ্যভূমিতে মাজার ব্যাবসার বিরোধীটা করেনা?
মাজার এ সিজদাহ্ করা, মৃত ব্যক্তির নিকট কিছু চাওয়া থেকে শুরু করে মদ, জুয়া, গাঁজা, বেশ্যাবৃত্তি কি না হয় সেখানে?
মাজারে সিজদাহ্ করা কি শিরক্ নয়??? তবে কেন ইসলামবিরোধী এই মাজারের শিরক কে তারা মেনে নিচ্ছে? কেন তার প্রতিবাদ করছেনা? কি লাভ তাদের? ভাস্কর্যে কেউ তো সিজদাহ্ করতে যায়না। তবে ভাস্কর্য নিয়ে তারা এত চিন্তিত কেন? আর যদি কেউ যায়'ই তবে তারা কেন এত শঙ্কিত? নিজের ধর্মের প্রতি কি তাদের বিশ্বাস কম?
পারলে তারা মাজার জিয়ারত ব্যবসা বন্ধ করুক। জানি সেখানে তারা জিহাদ করতে যাবেনা- তারা সেখানে শহীদ, গাজি, পাজী কিছুই হতে চান না। এটা তাদের রাজনৈতিক/ ব্যক্তিগত কোনো লাভও বয়ে আনবেনা।
বরং গদাম খাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকবে বলেই তারা তা করবেনা।
ধর্মপ্রাণ বলতে যদি তারা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইসকন, জামায়াত-শিবির, হিজবুত তাহরীর’র কথা বলেন তবে আমার আর কিছুই বলার নেই। কারন নিজেকে নিজেই ধর্ষণ করলে আর কি’ই বা বলার আছে???
"নাস্তিকরা নয় বরং ধর্মান্ধরা ই নিজ নিজ ধর্ম কে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।