ধুলো থেকে আগমন আবার ধুলোতেই প্রত্যাবর্তন
মানুষ তার এই ছোট্ট বুকে ভালবাসার বিশাল এক সমুদ্র ধারণ করে মানুষের মাঝেই বিচরণ করে বেড়ায় কিন্তু নিজেই অনুধাবন করতে পারেনা তার গভীরতা। কেবল বৈচিত্রময় কোন পরিবেশেই সেই শান্ত সমুদ্রে তোলপাড় শুরু হয়, দুমরে মুচড়ে দিতে চায় সবকিছু, পাড় ভেঙ্গে উছলে ওঠা সুনামীর মত!
এটা খুবই করুণ যে, পৃথিবীর মানুষেরা যেই ভালবাসা পাবার জন্য দূরে বহুদূরে চলে যেতে চায় সেই মানুষেরাই ভালবাসার কারণে বেশি কষ্ট পায়! যার হৃদয়ে যত বেশি প্রেম তার জন্য নির্ধারণ করা আছে ততবেশি কষ্ট, তত বেশি বেদনা! তবুও মানুষ ভালোবাসা নামক মরিচীকার জন্য মরিয়া! ভালবাসাকে নিয়েই এত স্বপ্ন দেখা আবার সেই ভেঙ্গে চৌচীর হয়ে যাওয়া স্বপ্নের টুকরোগুলো হাতে নিয়ে কান্নার বুকেই আশ্রয় গ্রহণ! এতকিছুর পরেও ভোরের সোনালী সকালের মত ঝলমল করা প্রেম দিয়ে সাদা কালো রং এর এই জীবন কে রঙ্গিন করে সাজাতে চায়, আবারও কারো পানে সকল কিছু শঁপে দিয়ে জনম জনম কাঁদতে চায়! গেয়ে ওঠে, "আমার প্রতি অংগ কাঁদে তব প্রতি অংগ লাগি।"
বুদ্ধিমান এইসব মানুষদের এইরকম দ্বৈত চরিত্র আমাকে আসলেই ভাবিয়ে তোলে। একটু অবসর পেলেই আমি ভাবতে বসি আমাদের এইসব আচরণ। ভাবতে থাকি, ভালবাসার এত দুর্নিবার আকর্ষণ থাকা সত্বেও পৃথিবীর প্রতি মানুষকে সে কখনই টেনে ধরে রাখতে পারেনা, তাকে বিদায় জানাতে হয়, চলে যেতে হয় অন্যভুবনে অন্য কোন খানে। সেই বিদায় ক্ষনের কষ্টও বুকে ধারণ করে রাখা ভালবাসার বিশাল সমুদ্রেরই সৃষ্টি। সমুদ্রটা যদি না থাকতো তবে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার সময় এত কষ্ট হতনা। হলদে রং এর পৃথিবী তখন সবুজ হয়ে ধরা দিতনা, আদিকাল হতে প্রবাহমান রুপালী আঁখী জল সোনালী গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ত না! ভালবাসার এ কোন করুণ পরিনতি! এমনি যদি ভালবাসার পরাজয় তবে অনিত্য এই জগত সংসারে এত ভালোবাসা ঢেলে দেবার কি অর্থ হতে পারে?
ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে আমিও একসময় ঘুমের ঘোরে তলিয়ে গিয়ে সুখ স্বপন দেখি, গভীর প্রেমের মধুর শরাব হাতে নিয়ে যদি কোন সাকি শীয়রে দাঁড়ায়। ঘুম থেকে জেগে উঠে সেই আমিই ভাবি মানুষের চরিত্রের এই দ্বৈত আচরণ নিয়ে! কেমন যেন শুণ্য লাগে ভেতরটা.....
ইচ্ছে করে চিত্কার করে ভাঙ্গি
এইসব নির্জনতা,
বুকের ভেতর খা খা দুপুর
চৈতালী স্তব্ধতা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।