রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে
ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট সর্বকালের সেরা ১০ ছবির তালিকা তৈরি করে আসছে ১৯৫২ সাল থেকে। প্রতি ১০ বছর পর পর তালিকা হালনাগাদ করা হয়। আরো অনেকেই সর্বকালের সেরা ছবির তালিকা তৈরি করলেও ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের মাসিক প্রকাশনা সাইট অ্যান্ড সাউন্ড যে তালিকা তৈরি করে সেটিকেই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয়।
মূলত তারা দুটি তালিকা তৈরি করে। একটি সমালোচকদের দৃষ্টিতে সেরা ১০, আরেকটি পরিচালকদের দৃষ্টিতে সেরা ১০।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা চলচ্চিত্র সমালোচক ও পরিচালকদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে তৈরি হয় সেরা ১০ ছবির তালিকা। সবাই মানেন যে এই তালিকা সব ধরণের বিতর্কের বাইরে, সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। সর্বশেষ তালিকা হয়েছে ২০০২ সালে।
১৯৫২ থেকে যতবার তালিকা হয়েছে প্রতিবারই সেরা ছবির তালিকায় শীর্ষে থেকেছে সিটিজেন কেইন। এমনকি সমালোচক এবং পরিচালকরা এই একটি ছবির েেত্রই সম্পূর্ণ একমত, অর্থাৎ সর্বকালের সেরা ছবি সিটিজেন কেইন।
১৯৪১ সালে মুক্তি পেয়েছিল অরসন ওয়েলস এর এই ছবি। এমনকি আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট এ বছরই সর্বকালের সেরা ছবির যে তালিকা তৈরি করেছে তাতেও সেরা ছবি সিটিজেন কেইন।
প্রথম দৃশ্যেই দেখা যাবে মিডিয়া জগতের দিকপাল চার্লস ফসটার কেইনের মৃত্যুদৃশ্য। মারা যাওয়ার ঠিক আগে তাঁর উচ্চারিত শেষ কথা ছিল ‘রোজবাড’। সাংবাদিক থমসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তিনি কেন এই কথা বলেছিলেন, কি তার অর্থ।
এর পর থমসন কথা বলতে থাকেন ফসটার কেইনের পরিচিতদের সঙ্গে। আর এভাবেই উম্মোচিত হতে থাকে ফসটার কেইনের রহস্যঘেরা জীবনের নানা অধ্যায়।
একটা গল্প চলচ্চিত্রের ভাষায় কিভাবে প্রকাশ করা হবে তার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ সিটিজেন কেইন। ১৯৪১ সালের তৈরি ছবিটিকে আজও কারিগরি দিক থেকেও সেরা ছবি বলা হয়। পরিচালক অরসন ওয়েলস-এর প্রথম ছবি ছিল এটি এবং তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৬।
ছবির মূল চরিত্রও ওয়েলস-এর করা। তার অভিনয়কেও বলা হয় ‘মেথড অ্যাক্টিং’-এর শুরুর দিকের বড় উদাহরণ।
সিটিজেন কেইন ব্যবসা সফল ছবি ছিল না। এই ছবি করতে গিয়ে পরিচালক আর্থিক কষ্টে পড়েগিয়েছিলেন। এরপরেও ওয়েলস আরো ছবি তৈরি করলেও সবগুলোই করেছেন নিজের মতো করে।
এমনকি এই ছবি অস্কারেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। মৌলিক চিত্রনাট্য শাখায় একটি পুরস্কার জুটেছিল। পরে অবশ্য জীবিত অবস্থাতেই তিনি দেখে গিয়েছিলেন যে, তার ছবি কিভাবে বিশ্বের সেরা চলচ্চিত্রের মর্যাদা পায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।