হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ
কিছু দিন আগে আমার এক বন্ধু বলল, "যে সব ছেলেরা মেয়েদেরকে অবলা-অসহায়-দুর্বল ভাবে তারাই আসলে নারী নির্যাতন করে। আর মেয়েরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করতে করতে ছেলেদের সেই অসুস্থ দৃষ্টিভঙ্গিকে সত্য বলে মানে। মেয়েরাও বিশ্বাস করে তারা ছেলেদের চেয়ে দুর্বল ও অদক্ষ। এজন্য তারা অত্যাচারিত হয়েও প্রতিবাদ করে না। মেয়েরা ভেবেই নিয়েছে, তাদের এভাবেই সৃষ্টি।
এটাই তাদের নিয়িতি। এর কোন পরিবর্তন নেই। কিন্তু, এই সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধান করার একটা বুদ্ধি পেয়েছি। '
আমি বললাম, "কি ভাবে?"
বন্ধু বলল, "দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও প্রভাবশালী মেয়েদের কথা যদি আমরা প্রচার করতে পারি মেয়েরা তখন আর নিজেদেরকে দুর্বল ভাববে না। তারাও উপলব্ধি করতে পারবে চেষ্টা করলে যে কেউ সফল হতে পারে।
সে ছেলেই হোক বা মেয়ে। তারা উদ্বুদ্ধ হবে, চেষ্টা করলে জ্ঞানে-সাহসে-ক্ষমতায়-দক্ষতায় কখনও কখনও মেয়েরাও ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারে। তখন তারা নিজেদেরকে উন্নতি করে এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যে ছেলেরা তাদের অত্যাচার করার কথা চিন্তাও করবে না। তাছাড়া, নির্যাতিত হলেও মেয়েরা তখন আর মুখ বুজে থাকবে না। প্রতিবাদ করবে।
অন্যদিকে মূর্খ প্রাচীনপন্থী ছেলেদেরও ভুল ভাঙ্গে। তারাও নারীদের সন্মানের চোখে, সমীহের চোখে দেখবে। এভাবেই নারী নির্যাতন অনেক কমে আসবে। "
আমি বললাম, "কথা সত্য। কিন্তু, প্রচারের কাজটা আমরা কিভাবে করতে পারি।
"
"আমরা একটা ফেসবুক পেজ খুলতে পারি। এই পেজের মাধ্যমে প্রচারের কাজ করবো। এই পেজের সাথে যদি পাঁচ হাজার মানুষও যুক্ত থাকে, পাঁচ হাজার মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও যদি আমরা পরিবর্তন করতে পারি সেটা কি কম বড় কথা!"
আমি বললাম, ''এই বুদ্ধিটা ভালো। কিন্তু একটা পেজ চালানো অনেক কঠিন কাজ। আলতু-ফালতু পেজ সহজেই চালানো যায়।
ভালো পেজ চালানো কঠিন। অনেক সময় দিতে হবে, নেট প্যাকেজ দ্রুত শেষ হবে। পেজ চালিয়ে তো টাকা পয়সা আয় হয় না। দেখা যাবে নেট প্যাকেজের খরচ কুলাতে না পেরে উৎসাহ এক সময় মাটি হয়ে যাবে। আমি জানি।
কবিতা বিষয়ক একটা পেজ মাস খানেক চালিয়েই আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। নেটের জন্য বেশী কিছু টাকা খরচ করতে না চাইলে পেজ চালানো বুদ্ধিমানের কাজ না। ''
বন্ধু বলল, ''তোর কথা ঠিক আছে। কিন্তু আমরা তো একটা ভালো কাজ করতে চাচ্ছি, তাই না। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করবো, তারপর না পারলে নাই।
তখন তো মনকে স্বান্ত্বনা দিতে পারবো- চেষ্টা করেছি, পারি নাই। আর পেজ চালানো শুরু করলে পেজের সদস্যরাও তখন আমাদের সহায়তা করবে। তারাও দেখবি আমাদেরকে পোস্ট তৈরি করে মেসেজে পাঠিয়ে দেবে। কোনো পত্রিকা ম্যাগাজিনে মেয়েদের কোন সাফল্য গাঁথা প্রকাশিত হলে পেজের এডমিনদেরকে মেসেজ পাঠিয়ে জানাবে। তখন কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
কথায় আছে না, দশের লাঠি, একের বোঝা!''
আমি বললাম, ''ঠিক আছে। পেজ বানা। আমি আছি। ''
বন্ধু বলল, ''ঠিকাছে। আমাদের পেজের লেখার মান ভালো হবে।
আমরা কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী। ভালো মানের লেখা পোস্ট হবে। ভালো লেখা না পেলে পোস্ট হবে না। পেজের জন্য এখন ভালো একটা নাম দে। ''
‘অপরাজিতা’ নামটা সুন্দর।
এই নামটা প্রথমে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অপরাজিতা নামে পরগাছা টাইপ একটা লতানো ফুল গাছ আছে। দেয়াল, গাছ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে বেড়ে ওঠে। যা আমাদের উদ্দ্যেশ্যের বিপরীত। তাই ‘অপরাজিতা’ বাদ দিয়ে নাম দেয়া হল- ‘স্বপ্নডানা’! এ নামটাও চমৎকার!
‘স্বপ্নডানা’ [https://www.facebook.com/pages/স্বপ্নডানা/289082034565637?ref=hl] পেজে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ।
ভালো একটি পেজের সাথে যুক্ত থাকুন। আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান। আপনারা পেজের জন্য পোস্ট তৈরি করে মেইল করে পাঠাতে পারেন। লেখার সাথে আপনার নামও প্রকাশিত হবে। আসুন, মহৎ কাজে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করি।
সবাই মিলে একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।