আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছো বসি আমার ব্লগখানি কৌতুহল ভরে
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেংগে যাবার পর পুরো ৯০ এর দশক রাশিয়ার জন্য চরম দুর্দশা বয়ে আনে । বরিস ইয়েলেতসিন দুর্বল শাসনে একদা প্রবল পরাক্রমশালী রাস্ট্রটি পূর্বের অবস্থার কঙ্কালে পরিণত হয়
** বেকারত্ব অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়
** মুদ্রাস্ফীতি সব রেকর্ড অতিক্রম হারায়
** চেচেন গেরিলাদের কাছে রুশ সেনাবাহিনী দারুন ভাবে মার খায় ।
** আন্তর্জাতিক অংগনে রাশিয়া তার গুরুত্ব হারায়
** বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনি , একটু দুর্বল বাহিনীতে পরিণত হয় ।
** রাশিয়া অর্থনৈতিক সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে
এ মিলেনিয়ামের শুরুতে ভ্লাদিমির পুতিন দায়িত্ব নেয়ার পর অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে । বিপুল পেট্রোলিয়াম সম্পদ আর অস্ত্র ব্যবসা চাংগা করে পুতিন প্রাথমিক ভাবে রুশ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার ইংগিত দেন ।
২০০৪ সালের পর পুতিন স্পষ্ট করে দেন যে রাশিয়া আবার পরাশক্তি হতে আগ্রহী। সামরিক বাহিনীকে আবার সুসজ্জিত করে তুলেন । মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দেন । ইরান প্রশ্নে , রাশিয়া ইরানের প্রধান মিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । মার্কিন নীতিগুলোর তিনি কঠোর সমালোচক হয়ে উঠেন ।
চীনের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়ে তিনি মার্কিনীদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়ান ।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবার কাছাকাছি এসে রাশিয়া নতুন প্রশ্নের মুখোমুখি দাড়িয়ে যায় । রুশ সংবিধান পরপর দু'বারের বেশি কাউকে প্রেসিডেন্ট হওয়া অনুমোদন করে না । বিগত ৮ বছরে রাশিয়ায় কোন নেতাই পুতিনের স্থান নেবার জন্য যোগ্য হয়ে উঠেননি । এমনকি কারা পুতিনের উত্তরসুরী হতে পারেন সে বিষয়ে সারা বিশ্বে তো বটেই , রুশদের মধ্যেও কোন ধারণা ছিল না ।
ক্যারিশমাটিক এই সাবেক কেজিবি প্রধানের স্থানটিতে নেতৃত্ব শূন্যতার আভাস দিতে থাকেন পর্যবেক্ষকরা । এর মাঝে বেশ কিছু ধারণা করা হয় :
১। তৃতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট হতে পুতিন সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেবেন ।
২। কাউকে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও , পর্দার অন্তরালে পুতিনই থাকবেন ।
সংবিধান সংশোধনের ব্যপারটি পুতিন নাকচ করে দেন , তবে আভাস দেন তিনি ২০১২ সালে আবার ক্রেমলিনে ফিরে আসবেন । স্পষ্ট করে দেন তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকতে চান ।
এর মাঝে অস্পষ্ট ঘোষণা আসে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন । ক্রেমলিন ত্যাগের পর তিনি প্রধানমন্ত্রি হবেন , এমনটাও শোনা যেতে থাকে ।
রয়টার্স আজ জানাচ্ছে , প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে পুতিন খুবই বাস্তব সম্মত বলে আখ্যা দিয়েছেন ।
রাশিয়ার নীতি নির্ধারনী ক্ষমতার সিংহ ভাগ প্রেসিডেন্ট নিয়ন্ত্রন করেন , কিন্তু পুতিন প্রধানমন্ত্রী হলে স্পষ্টতই প্রধানমন্ত্রী সর্বময় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠবেন ।
পুতিনের এ সিদ্ধান্ত পশ্চিমা দেশগুলোর কপালে নিঃসন্দেহে বড় ভাজ ফেলে দেবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।