আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন শিক্ষকের মানসিক বিকার ও বিতর্কিত বিশ্বাস

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

(রামছাগলের 'রা' অদ্যাক্ষরের এক নারীভক্ত, স্ত্রৈণ ব্লগার নারী মর্যাদা রক্ষা কল্পে অযাচিত ভাবে আমাকে আক্রমণ সূত্রে...) দেশের স্বনামধন্য পদার্থবিজ্ঞানী ড. আলী আসগর আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে যে অভিযোগ শুনেছি..তিনি নাকি নবীজীকে 'সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা' বলেছিলেন....সত্য মিথ্যা যাই হোক ...পদার্থ বিজ্ঞানের ক্লাশে নিজের আদর্শ ও বিশ্বাসরে কথা তিনি কখনই তুলেননি....বরং কোয়ান্টাম ফিজিক্স তিনি শিল্প-সাহিত্যের মত খোলা মন ,আমোদ নিয়ে পড়াতেন...আমরা মুগ্ধ হতাম.... একজন শিক্ষকের বিশ্বাস বিতর্কিত হতেই পারে...কিন্তু ক্লাশে ছাত্রদের সামনে মূল পাঠ্য বিষয় ফেলে সেসব প্রসঙ্গ তোলাটা নেহাতই বাড়াবাড়ি, অন্যায় এবং বোকামি। ড. জাফর ইকবাল একজন স্বীকৃত দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী। তার বক্তব্য ও বিশ্বাস তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনের কাছে বিতর্কিত। কিন্তু আমি শুনিনি তিনি তার বিশ্বাসের স্বপক্ষে ক্লাশে কখনও গলাবাজি করেন বা করেছেন।

এ প্রজন্মের কাছে স্বাভাবিকভাবে তার জনপ্রিয়তা এত বেশি...যে আজ তিনি যদি ঘোষণা দেন সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নাই...এ প্রজন্ম অন্ধভাবে তাই বিশ্বাস করবে। একজন আদর্শবাদী মানুষ খুব সহজেই তার ব্যক্তি বিশ্বাস ও বিবেচনা গুলো ছড়িয়ে দিতে পারেন। জাবি পদার্থ বিজ্ঞানের এক ধার্মিক শিক্ষক বছর কয়েক আগে তার ক্লাশে মৌলবাদী কর্মকান্ডের জন্য দেশব্যাপী সমালচিত হয়েছিলেন। তিনি হিন্দু ছাত্রদের মুসলমান নামে ডাকতেন, মেয়েদের বাধ্যতামূলক বোরকা পরিধানের ব্যাপরে নির্দেশ দিতেন। প্রয়াত ড. হুমায়ুন আজাদ এবং অতি সম্প্রতি ঢাবির এক শিক্ষক দম্পতি (অহিদুজ্জামান) তাদের ক্লাশে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মানুষের ব্যক্তি বিশ্বাস ও প্রথাগত আচারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন যা নিজস্ব বিতর্কিত বিশ্বাস।

এসব কারণে ধার্মিক তথা বিশ্বাসীরা প্রচন্ড মানসিকভাবে আহত হয়...কারণ শিক্ষকের মুখের উপর তারা হয়ত প্রতিবাদ করার সাহস পান না। ঢাবির ছাত্রদের কাছে শোনা যে হুমায়ুন আজাদের এসব কটূক্তির কারণে অনেক ছাত্রী প্রচন্ড আহত -অপমানিত হয়ে অঝোরে কেঁদেছে সবার সামনে। আমার বিশ্বাস আমার কাছে....এটা কোন বিশেষ আদর্শ না যে ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দিতে হবে....শিক্ষক হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে থেকে এসব নিয়ে ছাত্রদের সাথে তর্ক করাটা মহা অন্যায়। আমার কলিগদের দেখেছি, যে কারণে এক ছাত্রকে ভয়ংকর ধমক দেয়া হলো...একই কারণে ছাত্রীকে দেয়া হচ্ছে মৃদু ভতসনা। শিক্ষকতায় ও নম্বর দানে প্রচলিত কিন্তু অঘোষিত লিঙ্গভেদের ঘোর বিরোধী আমি।

ছাত্র-ছাত্রী সবাইকে আমি একইভাবে ট্রিট করি...এটাই আমার আদর্শ। কোন নারীর সমালোচনা করা মানেই আমি ছাত্রীদের ঘাড় ধরে বের করে দিই.....'রা' যুক্ত ব্লগারের এমন মানসিকতার অর্থই হলো....তিনি নারী, ছাত্রী, মেয়েদের সাথে সর্বক্ষেত্রে নরম সুরে কথা বলতে চান.... অপরাধ বা ত্রুটি করলে শিক্ষক হিসেবে কোন ছাত্রীকে বা বড় ভাই হিসেবে কোন ছোটবোনকেও ধমক দেয়া যাবেনা। লিঙ্গ বৈষম্য আপনারাই করেন। এর বিপরীতটাকে যদি বলেন...নারী বিদ্বেষ, তবে সেটা তাই...অন্তত আপনার কাছে...আমার কাছে এটা ন্যায়বিচার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.