আগের পর্ব দেখুন
কুরআনের ব্যবহারিক ভাষায় তাকওয়া বলতে অন্তরের সেই আবস্থা ও জবানকে বুঝানো হয়েছ। যা অর্জিত হলে একজন মানুষ যাবতীয় গোনাহকে সর্বাত্নকভাবে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। এবং নেক বা ভালো কাজ করার প্রতি অন্তর থেকে তীব্র আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। রমযান মাসের রোজার উদ্দেশ্য ও লক্ষ হলো মানুষের মাঝে তাকওয়া সৃষ্টি করা। এ পসঙ্গে আল্লাহ তা,য়ালা এরশাদ করেনঃ
"তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।
" (সুরা বাকারা ২২)
মানুষের মধ্যে অনেকে অন্তরের রোগের কারণে, আল্লাহকে অস্বীকার করে! নাস্তিক হয়! আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে সঙ্কোচ বোধ করে। বড় বড় বুদ্ধিজীবী,জ্ঞানী, বিজ্ঞানী, ডাঃ বলে নিজেকে দাবি করে, কিন্তু মহাবিজ্ঞানীর বিজ্ঞান গ্রন্থ আল কুরআন বুঝে না। মহা বিজ্ঞানীর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আপন দেহ ও আত্মার গভীরে প্রবেশ করে না। ধর্ম অমানুষকে মানুষ করে। মানুষকে করে মহামানব।
ধর্মীয় শিক্ষা, পরিবারিক অনুশাসন ও পারিপাশ্বিক সমাজ ব্যবস্থা একজন মানষকে প্রকৃত মানুষ হতে অনুপ্রাণীত করে। অশান্ত এই বিশ্বে সভ্য মানুষ, সৎ চরিত্রবান ও সৎ চিন্তনের অধিকারী ও ধর্মীয় মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের বড় প্রয়োজন। কল্যাণকামী সমাজ ছাড়া আদর্শহীন সমাজ ব্যবস্থা পারে না ব্যক্তিদের চরিত্র নির্মল ও পুত পবিত্র করে দিতে। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ
" উত্তম চরিত্রই হলো সব পূণ্য শীলতার মূল কথা" (মুসলিম)
আল্লাহপাক আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্বতসম।
একথা সন্দেহতীত ভাবে চরম সত্য আমাদের ইহকালীন জীবনের ন্যায় অন্যায়ের চুলচেরা হিসাব হবে পরকালীন জীবনে। সৎ কাজ অর্থাৎ নেক আমলের জন্য বেহেশত এবং অন্যায় কাজ অর্থাৎ বদ আমল কারীর জন্য শাস্তিময় দোজখ নিদ্বারিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।