আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাকওয়া সম্পর্কে কুরআন হাদীসের নির্দেশনা...........

আমার দেশ আমার গর্ব আমার অহংকার....... ইসলামী জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেকে এক অস্বচ্ছ ধারণা পোষণ করে থাকে। তারা প্রায়ই কেবল এর তাত্ত্বিক দিকটি বিবেচনায় আনেন। এর ব্যবহারিক দিকটির ওপর তেমন গুরুত্ব দেন বলে মনে হয় না। তাকওয়া সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত সূরা আল ইমরান আয়াত ১০২-এ বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে যে রকম ভয় করা উচিত তাকে তোমরা ঠিক সে ভাবে ভয় করতে থাক এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। এখানে মুসলমান অর্থ হলো আল্লাহর আনুগত্য করা এবং তার নিকট আত্মসমর্পণ করা তথা তিনি যে ভাবে চলতে বলেছেন সেভাবে চলা এবং যে ভাবে চলতে নিষেধ করেছেন সেভাবে না চলা। হযরত ওমর (রাঃ) তাকওয়ার অর্থ জানতে চাইলে সাহাবা হযরত উবাইদ ইবনে কাব (রাঃ) বলেন, কাটা বনের ভেতর দিয়ে চলতে গেলে যেমন এজনকে সাবধান ও সতর্ক হয়ে চলতে হয়, তেমনি গোনাহ থেকে আত্ম রক্ষা করে চলাকে বলে তাকওয়া। .......এম.জহিরুল ইসলাম ================================================================== তাকওয়া অর্জনের মাস রমযান................ আসুন জানি তাকওয়া সম্পর্কে কুরআন হাদীসের নির্দেশনা........... ==================================================================== অবশ্য নেকী হলো আল্লাহকে ভয় করার মধ্যে৷ আর তোমরা ঘরে প্রবেশ করো দরজা দিয়ে এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো যাতে তোমরা সফল হতে পারো (সুরা বাকারা-১৮৯) তোমরা সেদিনকে ভয় কর, যেদিন একব্য িক্ত থেকে অন্য ব্যক্তি বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না, কারো কাছ থেকে বিনিময় গ্রহণ করা হবে না, কারো সুপারিশ কাজে লাগবে না এবং কারো সাহায্যও পাবে না (সূরা বাকারা-১২৩ আয়াত)৷ হে মু’ মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে যথার্থরূপে ভয় কর এবং অবশ্যই পূর্ণ মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না (সুরা ইমরান ১০২ আয়াত)৷ হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি (আদম) হতে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার জীবন সঙ্গিনী (বিবি হওয়াকে) সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন কে অগণিত নারী-পুরুষ (সুরা নিসা-১ আয়াত)৷ হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো (সূরা তওবাহ-১১৯ আয়াত)৷ (কুরবানীর)গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের মনের তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি (সূরা হজ্জ-৩৭ আয়াত) (জমিনের ওপর) বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, জন্তু, চতুষ্পদ প্রাণী রয়েছে৷ আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাঁকে (বেশি) ভয় করে৷ নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল (সুরা ফাতির-২৮ আয়াত)৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ ভীরুরা (পরকালে) নিরাপদ স্থানে থাকবে বাগ-বাগিচায় ও ঝর্নাসমূহে ৷ তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমী বস্ত্র, একে-অপরের দিকে মুখোমুখি হয়ে বসবে (সূরা দুখান-৫১-৫৪ আয়াত)৷ যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে (হাশরের দিন) দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়ালখুশি থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে তার ঠিকানা হবে জান্নাত (সুরা আন নাযিয়াত ৪০-৪১ আয়াত)৷ রসূল (স.) বলেন, আল্লাহকে ভয় করো৷ জীবিকা উপার্জনে জায়েয উপায়-উপাদান অবলম্বন কর৷ রিযিক লাভে বিলম্ব তোমাদেরকে যেন অবৈধ পন্থা অবলম্বনের পথে না ঠেলে দেয়৷ (ইবনে মাজাহ)৷ রসূল (স.) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে উত্তম লোকদের সম্পর্কে বলবো? লোকেরা বললো, বলুন হে আল্লাহর রসূল৷ তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে তারাই ভালো মানুষ যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্বরণ হয় (অর্থাৎ অন্তরে তাকওয়ার কারণে বাহ্যিক দিকেও তার প্রভাব ফুটে ওঠে (ইবনে মাজাহ)৷ হযরত আবুজর গিফারী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল (স.)কে জিজ্ঞাসা করা হলো, সবচেয়ে সম্মানীয় ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, সকলের চেয়ে যে আল্লাহকে বেশি ভয় করে (বুখারী ও মুসলিম)৷ ======================================================================= মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে তাকওয়া অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন। (সংগৃহীত দৈনিক ইত্তেফাক হতে)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.