আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাকওয়া বিহীন আত্ন শুদ্ধি সম্ভব নয় । (সাত)



আগের পর্ব দেখুন নিজের জন্য যা উপকারী তাও অনেকে গাফলতি বা অবহেলা করে, অন্যমনস্কতা বা অন্তরের অন্ধত্বের কারণে। গাফলতি বা অন্যমনস্কতা অধিকাংশ অন্যায়ের মূল কারণ। আল্লাহ পাক এ সম্পর্কে এরশাদ করেনঃ "আর প্রকৃতপক্ষে অনেক লোক আমার উপদেশাবলী হতে উদাসীন রয়েছে। " (সুরা ইউনুস ৯২) আল্লাহর শপথ, গাফলতি এমন মারাত্মক ও ভয়াবহ এক রোগ যা থেকে আল্লাহ পাক সাবধান করেছেন, " [হে নাবী] তুমি এই ব্যাপারে গাফিল ও উদাসীন হবে না। " (সুরা আ'রাফ ২০৫) আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা'য়ালা ঈমানদারদের অন্তরের সুস্থতার জন্য চিকিৎসা, হিদায়েত এবং রহমত হিসেবে কুরআন মজিদ নাযিল করেছেন।

আল্লাহ তা'য়ালা এর দ্বারা সমস্ত মানুষকে সম্বোধন করে ডাক দিয়েছেন। " [হে মানব জাতি] তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের তরফ হতে এমন এক বস্তু সমাগত হয়েছে যা নসীহত এবং অন্তর সমূহের সকল রোগের আরোগ্যকারী, আর মুমিনদের জন্যে ওটা পথ প্রদর্শক ও রহমত। [হে রাসূল!] তুমি বলে দাওঃ আল্লাহর এই দান ও রহমতের প্রতি সকলেরই আনন্দিত হওয়া উচিৎ, তা এটা (পার্থিব সম্পদ) হতে বহুগুণ উত্তম যা তারা সঞ্চয় করছে। " (সুরা ইউনুস ৫৮) আল্লাহ পাক আরও এরশাদ করেনঃ "এবং আমি অবতীর্ণ করি কুরআন, যা ঈমানদারদের জন্য আরোগ্য ও রহমত, কিন্তু তা সীমালংঘনকারীদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে" (সুরা বানী ইসরাইল ৮২) আল কুরআন হলো অন্তর ও হৃদয়ের আপদ এবং রোগের সবচেয়ে উপকারী ঔষধ এবং এই কুরআনে প্রবৃত্তির রোগের ও চিকিৎসা রয়েছে। কুরআনে দলীল, প্রমান এবং সুস্পষ্ট যুক্তি রয়েছে যা সত্যকে মিথ্যা থেকে স্পষ্ট বর্ণনা করে দেয় এবং এর মাধ্যমে সন্দেহের রোগ দূর হয়ে যায়।

তবে প্রবৃত্তির রোগের ঔষদ হলো যে, কুরআনে যে হিকমত বা বিজ্ঞান ও উত্তম উপদেশ। অন্তরের সততা নষ্ট কারী রোগের ঔষদ হচ্ছে, কুরআন এবং আখেরাত। তবে এই রোগের চিকিৎসা শুধু কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমেই অর্জন হবে না। বরং কুরআন নিয়ে অবশ্যই গভীর চিন্তা ভাবনা করতে হবে এবং কুরআনে যে তথ্য বা খবর আছে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরী । আর তাতে যা হুকুম-আহকাম রয়েছে তার প্রতি আত্মসমর্পণ করতে হবে।

আল্লাহ তা'য়ালা এরশাদ করেনঃ " আল্লাহর অনুমতি ব্যতীরেকে কোন বিপদই আপতিত হয় না এবং যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করবেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক অবগত। " (সুরা তাগাবূন ১১) আল্লাহকে ভালবাসা এবং আল্লাহকে স্মরণের মাধ্যমে অন্তরের সংশোধন করা সম্ভব। আল্লাহ তা'য়ালা এরশাদ করেনঃ "আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত (অন্তর) প্রশান্ত হয়। "(সুরা রা'দ ২৮) এবং রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেছেনঃ "যে ব্যক্তি তার প্রতিপালককে স্মরণ করে, আর যে ব্যক্তি তার প্রতিপালককে স্মরণ করে না, তাদের উভয়ের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত এবং মৃতের ন্যায়।

" ( বুখারী হাদিস ৬৪০৭) অতএব অন্তরের সুস্থতার জন্য আমাদের আল্লাহর যিকর এবং স্মরণ করা প্রয়োজন। অন্তরকে আল্লাহর যিকর থেকে বিরত রাখা হলে অন্তর কঠিন ও শক্ত , অন্ধকার ও তামাসাচ্ছন্ন হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক এরশাদ করেনঃ "দুর্ভোগ সেই কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য, যারা আল্লাহর স্মরণে পরন্মুক। " (সুরা যুমার ২২)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.