আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুড়িয়ে পাওয়া ভালোবাসা



৮ম শ্রেণী পর্যন্ত বয়েস স্কুল পড়ে নবম শ্রেণীতে যখন কম্বাইন্ড স্কুলে ভর্তি হলাম তখন দুনিয়াটাকে নতুন করে চিনতে শিখলাম। বোন এবং মা ছাড়া যে মেয়েদের আরো কিছু রূপ থাকতে পারে তা প্রথম জেনেছিলাম। প্রথম প্রথম কোন মেয়ের সাথে কথা বলতাম না। পরে সবার সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিলো। বিশেষ করে একজনের সাথে সবার চাইতে বেশী।

ছেলে ছাড়াও যে কোন মেয়ে একটা ছেলের বন্ধু হতে পারে সেটা তার কাছেই প্রথম শিখেছিলাম। পরবর্তীতে সেই হয়ে উঠে আমার সবচেয়ে ভালো মেয়ে বন্ধু। বন্ধুত্ব গড়তেই নবম শ্রেণী পেরিয়ে গেলো। প্রেমিকা নামক রূপটা নতখনও ধরা পড়েনি। ছেলে বন্ধুদের প্রায়ই জনকে দেখতাম স্কুলের জুনিয়র ক্লাশের মেয়েদের পিছে ঘুরতে।

কেউ কেউ লেইজার আওয়ারে ডেটিংও করতো। প্রেমিকা রূপটা দেখার জন্যই আমার একটা প্রেম করা চাই। খোঁজে খোঁজে বের করলাম ৮ম শ্রেণীর এক মেয়েকে। মনে হলো এর সাথেই প্রেম করা যায়। আমার সবচেয়ে কাছের ছেলেবন্ধু কে তার কথা বললাম।

লেইজার আওয়ারে দেখালামাও বটে। কিন্তু দোস্ত হতাশার বাণী শুনালো ঐ মেয়েকে দেখে। মেয়েটা তাদের পাড়ায় থাকে এবং অলরেড়ী এক ছেলের সাথে সর্ম্পক আছে। ব্যাপারটা আমি মেনে নিতে পারলামনা। তবুও চেষ্টা করতে লাগলাম।

একদিন একটা চিঠিও দেই। উত্তরে মেয়টি তার প্রেমিককে স্কুলে ডেকে এনে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রেমিক আর কেউ নয়। আমার বয়েস স্কুলের সবচেয়ে বড় দুশমন। খামোখা মারামারির জন্য যে বিখ্যাত।

অবশ্য সেদিন সে বন্ধুসুলভ আচরণ করলো। মেয়েটি বোধহয় কিছু বলেনি। এরপর কিছুকাল কেটে গেছে। কোনো মেয়ের পিছে ঘুরার ইচ্ছে ও সময় কোনটাই হয়নি। এস এস সি ও পাশ করে ফেললাম।

বিদায়ের দিন আমার সেই সবচেয়ে কাছের মেয়েবন্ধুটির চোখে পানি দেখলাম। তার রিকোয়েষ্ট তার সাথে যেন যোগাযোগ রাখি। রেখেওছিলাম। একই পাড়ায় থাকতাম বলে একই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হই। এরপর থেকে পড়ালেখার সুবাদে দুজন দুজনের অনেক কাছাকাছি এসে পড়ি।

আমার জীবনে তার প্রয়োজনীয়তাটা টের পাই। আস্তে আস্তে ভালোবাসতে শুরু করি। প্রেমিকা বনানোর জন্য নয় নিজের জীবনের জন্য। এরপর................. এখন মেয়েদের আর একটা রূপ দেখার আশায় আছি। নাহ এজন্য অন্য মেয়ের দরকার নেই ।

আমার সবচেয়ে কাছের মেয়েবন্ধু,আমার প্রিয়তমাকে দিয়েই সম্ভব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।