কথাগুলো বলছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের বাসিন্দা মধ্য বয়সী যুধিষ্ঠির বাড়ৈ (৪৫)।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিদিন সূর্য ওঠার পরপরই ছোট্ট ডিঙ্গি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিলে শামুক কুড়াতে। গত ১৫ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে রাজৈরের বিলগুলোতে শামুক কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুরের বিভিন্ন বিল থেকে সংগ্রহ করা এসব শামুক ফড়িয়ারা ক্রয় করে খুলনার বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে নিয়ে বিক্রি করেন।
প্রতিবছর বর্ষাকালে ছয় মাস শামুক কুড়িয়ে বিক্রি করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাহা উপার্জন করেন বলে জানান যুধিষ্ঠির বাড়ৈ।
শুধু এই আমগ্রামের যুধিষ্ঠিরই নন, রাজৈরের চৌয়ারিবাড়ি, কদমবাড়ি, ভেন্নাবাড়ি গ্রামের মালতী রানী, শেফালি, খোকন, পরিমলসহ শতাধিক নারী ও পুরুষ বিভিন্ন বিলে শামুক কুড়িয়ে পরিবারে বাড়তি আয় করছেন।
মালতি রানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাইস্যাকালে কামকাজ নাই। হেইজন্য সংসারে বাড়তি টাহা কামাই করার লাইগ্যা হামুক টোহাই।
এখানকার শামুক কিনে বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে বিক্রি করেন ফড়িয়ারা।
এমন একজন ব্যবসায়ী শেখ মোহম্মদ শাজাহান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাদারীপুরের বিভিন্ন বিল থেকে যেসব দরিদ্র মানুষ শামুক সংগ্রহ করে, তাদের কাছ থেকে তিনি শামুক কেনেন প্রতি বালতি ৫০ টাকা দরে।
এগুলো তিনি খুলনার বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে নিয়ে বিক্রি করেন বলে জানান।
প্রতিদিন তিনি অন্তত একশ বস্তা শামুক সংগ্রহ করেন বলে জানান।
তোরাব আলী ফকির নামে আরেক ব্যসায়ী বলেন, তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া এলকা থেকে শামুক সংগ্রহ করেন। প্রতি বস্তা শামুক ক্রয় করেন তিনশ’ টাকায়।
খুলনার বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে এসব শামুকের বস্তা সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায় বলে জানান তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন বিল এলাকায় বর্ষায় ছয় মাস তেমন কাজকর্ম না থাকায় মৌসুমের শুরু থেকে শামুক সংগ্রহ শুরু হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।