প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সংগ্রামের উল্লেখ করে বলেন, তার দলের এসব মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। গণতন্ত্র সুরক্ষা ও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল সকালে তরীকত ফেডারেশনের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ৯ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ কঠোর হাতে দমনের মাধ্যমে দেশকে এই কলঙ্ক থেকে মুক্ত করেছে। এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দারিদ্র্য ও দুর্নীতি নিমর্ূলে তার প্রচেষ্টার বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সম্প্রতি প্রকাশিত সূচকের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওই সূচকেই প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু দেশের একশ্রেণীর লোকেরা এ কথা মানতে চায় না। আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের জন্য বিরোধীদলের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকজনকে পুড়িয়ে মারা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে হামলা ও অগি্নসংযোগ কী ধরনের রাজনীতি? বিরোধীদলের এ ধরনের রাজনীতি আমি বুঝি না। জনগণও বুঝতে পারছে না। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ চিরতরে নিমর্ূলের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন তরীকত নেতারা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।