অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।
কালকে হাফ ইয়ার্লির রেসাল্ট দিয়েছে। শেষ পিরিয়ডে আমাদের ইয়ার এ্যডভাইসারকে দেখে সবাই অবাক। এত আগে কখনই কাজ শেষ হয় না। অন্তত: চার/পাঁচ দিন পরে পাওয়ার কথা।
অবাক থেকে উঠে আসার আগেই ভয় জমেছে মনে। আমার দরজা-চাপা ঘটনার জন্য ইংরেজি আর অংক ছাড়া কোন পরীক্ষাই দিতে পারি নি। অংকের টিচারকে এমনিতেই ভালো লাগে না, ঐটার জন্য উলটা পালটা কিছু পাবোই। আর অন্য সবকিছুতে এস্টিমেটেড মার্ক। আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে কোন রকমে হাত বাড়ালাম।
পেয়েই চোখ বড় বড় হয়ে গেল, তিনটা বিষয়ে প্রথম স্থান! ইংরেজিতে ৯৭%!!! আমার ইচ্ছা করছিলো আকাশে বাতাসে মেঘের দেশে উড়ে যেতে ... কিন্তু শুধু কয়েক মূহুর্তের জন্যই। আমার চার বছরের ঠান্ডা যুদ্ধের শত্রু এসে বলে আমাদের মার্ক ঠিক মত দেয়নি। ও আমার থেকে সব পরীক্ষায় ভালো করেও আমার থেকে কম পেলো কেন? এই মেয়েটা আমার আশার আলো নিভিয়ে আসছে গত চার বছর ধরে। হাসি হাসি মুখে মারাত্মক কথা বলার স্বভাব। তবে এবার ও আসলেই ঠিক, তাই মন খারাপটা একটি তাড়াতাড়ি হলো।
তবে অন্য দু'টো এখনও আছে তাই বেশি খারাপ হয় নি।
অংকে আমি আগে খারাপ ছিলাম না। ক্লাস এইটে প্রতিটা পরীক্ষায় ৯৫% পেয়েছিলাম। তখন মনে হতো একই জায়গায় বসে আছি কেন? জায়গা থেকে নড়ার মজা টের পেলাম পরের বছরে। টিচার হলো ফেলিসেটি - মহিলা অনেক কিছু জানে কিন্তু বেশিরভাগ জিনিষই মনে রাখতে পারে না।
ক্লাসের অনেকটুকু সময় নেয় মেয়েদের চুপ করানো নিয়ে, খাতা সুন্দর রাখার কথা বলে আর বোর্ড অতি সাধারণ অংকে ভরে। সহজ অংক কয়েক সপ্তাহ ধরে করিয়ে কঠিন অংক করানোর সময় রাখে না। ওনার মুখ দেখলেই রাগ ধরে যায়। আমার মুখ দেখলেও মনে হয় ওনার রাগ ধরে। অংক করা ছেড়ে দিয়েছিলাম, তাই নম্বরও আস্তে আস্তে কমছিলো।
কিন্তু এখন আবার শুরু করেছি। আগের জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি আপাতত। আমাকে বোঝানো হয়েছে, মিস ফেলিসেটি আমার পেটের ভাত জোটাবে না, কেড়েও নেবে না। ওনার জন্য সময় নষ্ট করে লাভ কি?
বুঝেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।