আমার এক বন্ধু খুবই অভিমানী। কিছু একটা হলেই গাল ফুলিয়ে ফেলে। কিছুদিন আগে সে তার বাবাকে বলল এক হাজার টাকা লাগবে। বাবা টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করতেই সে গাল ফুলিয়ে ফেলল। গাল ফোলাল তো ফোলালোই, দুপুরে ভাত পর্যন্ত খেল না।
তাকে অনেক সাধাসাধি করা হলো। তবু খেল না। রাতে খাবার টেবিলে ডাকা হলো। সে গেল না। তার ছোট বোন তার ঘরে খাবার দিয়ে গেল।
সে স্পর্শও করল না। মাঝরাতের দিকে তার বাবা এসে খাওয়ানোর জন্য অনেক সাধাসাধি করলেন। কিন্তু সে খেলই না। বাবা রেগে গেলেন। বললেন, আমি তোকে আর তো সাধবই না, অন্য কাউকেও সাধতে দেব না।
বন্ধু তার বাবার কথা গায়ে মাখল না। সে ধরেই নিল পরদিন সকালে ঠিকই বাড়ির সবাই আবার তাকে সাধবে। তখন না হয় খেয়ে নেবে। কিন্তু সকালেও সাধল না, দুপুরেও সাধল না। বিকালে তো তার অবস্থা যাই যাই।
কয়েক বেলা না খাওয়ার কারণে সে মোটামুটি বিছানায় পড়ে গেল। কিন্তু নিজে চেয়ে খেতে গেলে মানসম্মান ধুলোয় লুটাতে পারে-এই আশঙ্কায় সে খাবার চাইতেও পারছিল না। কী করা যায় কী করা যায় ভাবতে ভাবতে সে একটা বুদ্ধি পেয়ে গেল। বাবা-মা যে ঘরে থাকতেন সেই ঘরের দরজায় চক দিয়ে বড় বড় করে লিখে রাখল-'আবার সাধিলে খাইব। ' আসলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু এমনই হয়।
সঠিক সময়ে নিজের মান বজায় রেখে কাজ করে ফেলতে না পারলে পরে অন্যের পেছনে পেছনে ঘুরতে হয়। নয় তো দেয়ালে ঠাস ঠাস করে মাথা ঠুকে দেয়ালের চুনকাম নষ্ট করতে হয়। তাই কবি বলেছেন-সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। আচ্ছা, কথাটা কি কোনো কবি বলেছেন? কবি বলুন কিংবা কবির আত্দীয়-স্বজনরাই বলুক, কথা কিন্তু সত্য। ছোটবেলায় একবার মোরগ নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম বিক্রি করার জন্য।
বাজারে যাওয়ার পরপরই এক পাইকার মোরগটার দাম বলল ১০০ টাকা। শুরুতেই যখন ১০০ টাকা বলে ফেলল, আমি ধরেই নিলাম আরও কিছক্ষণ অপেক্ষা করলে এই মোরগ ১৫০ টাকা বিক্রি করা যাবে। ২০০ টাকাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে দামে বিক্রি করতে হয়েছিল, সেই টাকা চলে গিয়েছিল রিকশা ভাড়ার পেছনেই। উল্লেখ্য, আপ-ডাউন রিকশা ভাড়া ছিল ৬০ টাকা।
১০০ টাকা দাম বলা মোরগ ৬০ টাকায় বিক্রি করার সময় পাইকারের মুখ থেকে এই গা জ্বালানো বাণীটা শুনতে হয়েছিল- সময় মতো বিক্রি করলে উচিত দামই পাইতা। পানি তো মিয়া খাইলা, গাধার মতো ঘোলা কইরা খাইলা আরকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।