সুন্দরের কাছেই সব দায় ভার
বৃষ্টিতে ভেজার জন্য রাত ২টায় বের হয়ে গেছি ছাদে। স্কুল-কলেজের বই রেখে সোজা বৃষ্টিতে দৈৗড় ঝাপ। অর্থাৎ বৃষ্টি এলেই অল্প পানির কৈ মাছের মত ছুটো ছুটি। আমাদের টিনের চালে বৃষ্টি পরলে আমরা চালের নিচে বালতি পেতে দিতাম যাতে বৃষ্টির পানি জমে বালতি ভরে যায়। শুনেছি বৃষ্টির পানিতে নাকি ভাল রান্না হয়।
বিশেষ করে ডাল নাকি খুব সিদ্ধ হয়। তাই বৃষ্টি আসলে মা বালতি বসাতে বলতেন। উঠানের পাশে দুধ কচুর পাতায় বৃষ্টির পানির যে যুদ্ধ হতো জানালা দিয়ে পুরো মুহূর্তটাই উপভোগ করতাম। বৃষ্টির দিনে লেখা-পড়া ফাকি দেয়া যেত অনেক কারন বিদ্যুৎ বিভ্রাট। কিন্তু সবাই মোম বা কেরসিনের হারিকেন,বাতি জ্বালিয়ে লডু ঠিকই খেলতাম।
তবে দিনের বেলায় বৃষ্টি হলে রেহাই নেই খিচুরি খাওয়া চাই সাথে শুটকি, ধনীয়া, ডাল,চিংড়ি ইত্যাদির ভরতা থাকলে আর ঠেকায় কে ? এক পেট খেয়ে বৃষ্টির ছন্দে টানা নাক ডেকে ঘুম।
বৃষ্টি দিনের এ সব স্মৃতি আর বিলেতের ছন্দহীন বৃষ্টির দিন গুলোর সাথে কিছুতেই মেলানো যায় না।
যে বৃষ্টিকে আমার এত ভাল লাগতো, কখনো কখনো একটু প্রশান্তির জন্য যে বৃষ্টির কাছে নিজেকে অর্পণ করতাম সেই বৃষ্টিই আজ আমার অনুভূতিতে দারুন ঘাঁ দিয়েছে। অনেক গুলো সুন্দর জীবন কেড়ে নিয়েছে পাহাড় পাড়ের বস্তি থেকে।
তাই এখন বৃষ্টি আমাকে ডাকলেও সাড়া দেই না;ভয় পাই বিশ্বাস করি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।