যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
ইংল্যান্ডের বাকিংহামশায়ার থেকে প্রথম স্বেচ্ছাসেবী কাজে বাংলাদেশে আসে সেই ১৯৬৯ সালে। তখন এসেছিলেন ভলান্টারী সার্ভিস ওভারসিজ (ভিএসও)এর সাথে এবং একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে। কাজ শুরু করেন চট্রগ্রামের কাছে চন্দ্রঘোনা হাসপাতালে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই তার কাজ ব্যহত হয়। একসময় বিদেশীরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ পেলে তিনিও চলে যেতে বাধ্য হন।
মানুষের জন্য সত্যিকারের প্রেম ধারন করে যে হৃদয় ঠিক সেইরকম এক হৃদয় আছে ভ্যালেরীর বুকের ভিতরে। তাই যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই, সেপ্টেম্বর ১৯৭১ -এই আবার ফিরে আসেন বাংলাদেশে। আমি কল্পনা করি তার সাহস, তার উদ্দীপনা, তার তীব্র প্রেমকে। আমি অভিভূত হই।
যুদ্ধে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রয়োজনসহ বাংলাদেশের মতো গরীব এক দেশের হাজার হাজার পঙ্গু মানুষের, নি:স্ব মানুষের পাশে এসে দাড়ানোর মতো কাজটা করার প্রয়োজনীয়তা আমরা বুঝি না, আমাদের সরকার বোঝেন না, বোঝেন একজন ভ্যালেরী টেলর।
১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে পঙ্গুদের জন্য ফান্ড তোলার কাজে হাত দেন তিনি। ২ বছর থেকে আবার ৭৫ এ ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিআরপি এবং তার যাত্রা। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শুরু হয় তার কার্যক্রম। দুটো সিমেন্ট রাখার গুদাম জুটেছিলো ভ্যালেরীর কপালে তার সেবার জন্য।
তাতে কি? চকচকে টিনটেড গ্লাস আর সুরম্য মার্বেল পাথর থোরাই কেয়ার করেন ভ্যালেরীর মতো হৃদয়ের মানুষেরা।
আজও ভ্যালেরীর অফিসের কামরায় অনেক রাত অবধি আলো জ্বলে। তিনি কাজ করছেন।
জ্যোতি আর পপি - এই দুইজন পঙ্গু মেয়েক কোলে টেনে নেন ভ্যালেরী কাজের ফাকে ফাকে। ওরা এই দেশের প্রতি ওর তীব্র ভালোবাসা আর মায়ার স্মারক।
ওর দততক সন্তান।
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছন ভ্যালেরী।
হয়তো (?) তারই পুরুস্কার স্বরূপ ভ্যালেরীকে তারই হাতে, ঘামে, রক্তে গড়া প্রতিষ্ঠানের এক অগুরুত্বপূর্ণ পদে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অথবা টাকা হাতানোর লোভে। হায় বাংলাদেশ!
রেফারেন্স:
আরিফ জেবতিকের মূল পোস্ট
এই পোস্টের ছবি ও তথ্য
Click This Link
সিআরপি বাংলাদেশ
http://www.crp-bangladesh.org
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।