নতুন বছর ।
সরিয়ে ফেলছি দেয়ালে টাঙানো সব পুরনো ক্যালেন্ডার ।
কেবলই মলাট খোলা নতুন বছরের নতুন ক্যালেন্ডার আমার হাতে ।
বছর ধরে ঝুলে থাকা পুরনো ক্যালেন্ডারে জমে ওঠা ধুলো তাই হাতে লাগলে মনটা একটু খারাপই হয় ।
দু হাতের তালিতে কয়েকবারেই ঝেড়ে ফেলি অনেকখানি ।
মলতে থাকা হাতে তখনও আমার একরাশ ধুলো ।
কাল থেকে নতুন বছর । নতুন দিন । নতুন সময় ।
এটুকুই ....................বাকি সবই পুরনো ।
সেই একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা , আধবোজা চোখে আয়নায় দেখা নিজের বাসি মুখ ।
পেটপূজার উৎকণ্ঠায় ত্রস্ত পায়ে ঘর ছাড়া । তারপর.... সারাদিন পূজার থালা সাজানোর ব্যাস্ততা ।
দিনটুকু পোহালে এলোমেলো পায়ে ঘরের কড়িকাঠ মাড়ানো ।
টলতে থাকা পায়ে তখন আমার একরাশ ধুলো ।
ঘরে ফিরে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে পড়তে চায় নরম বিছানায় । কিন্তু মন মানে না ।
আরেকবার ধুলো ঝেড়ে তাই বেরিয়ে পড়ি ; মনের ধুলো বাতাসে উড়িয়ে দিতে ।
সঙ্গ দেয় বন্ধুরা.... অথবা অন্য কেউ ; তথাকথিত কাছের ।
বসি যেয়ে রাস্তার পাশের কোন চা অথবা ফুচকার দোকানে ।
মুখের উপর ধুলো উড়িয়ে বেরিয়ে যায় কোন না কোন গাড়ী ।
ডলতে থাকা চোখে তখন আমার একরাশ ধুলো ।
অনেকদিনের অভ্যাস অথবা অপারগতা ।
তাই একটা সময় বাড়ি ফেরার তাগাদা অনুভব করি ।
ধুলো জমা জানালার পর্দা টেনে দিয়ে বিছানায় ফেলে দেই তিক্ত শরীরটাকে ।
বিছানার কোনায় পড়ে থাকা বালিশে মুখ গুঁজে দেই অশ্লীল অলসতায় ।
বালিশের তলায় চাপা পড়ে যায় সারাদিনের পাপের পাহাড় ।
জ্বলতে থাকা বুকে তখন আমার একরাশ ধুলো ।
সহজেই ঘুমিয়ে পড়ি এই সৌভাগ্য কখনও হয় না ।
মনের অস্থিরতা চোখের পাতায় কাঁপন ধরায় ।
লাগামটানা সাধ্য আর লাগামহীন সাধ এর দ্বন্দ্ব বাঁধে ।
ধুলায়িত শহরে ধুলো পড়া ময়লা স্বার্থ উদ্ধারের নীল নকশা আঁকি ।
পাপ চেপে রাখা মাথার বালিশটা হয়তো গুমরে কাঁদে ।
আর সময়ের প্রয়োজনে চলতে থাকা মনে তখন আমার একরাশ ধুলো ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।