আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেলিফোনে ভড়কে দেওয়া

সযতনে খেয়ালী!

সেদিন আরিফ জেবতিকের তার মোবাইল বেলা পড়ে মনে হলো টেলিফোন সংক্রান্ত কিছু জটিল জিনিষ শেয়ার করি সবার সাথে। আফটার অল আপনারাই তো আমার ঘর, আপনারাই তো আমার বাড়ি, তয় শশুড় বাড়ি না। কেউ তো এখন পর্যন্ত নিজের ছোট শালীটারে দিলো না। এইটা কেউ বুঝেনা, এই গরীবরে একটা শালি এই দুনিয়ায় দিলে পরকালে দশটা শালি পাইবো। সব হালা ভুদাই পাবলিক (শালি দিলে গালি তুইলা লমু, আই প্রমিজ )।

ঘটনা 1: আমাদের মধ্যে সিনিয়র (বন্ধু) বাবু ভাই। খালি পক পক করে। দুনিয়াডাই তার কাছে পানি ভাত। কথা শুনলে মনে হইবো মহাবীর আলেকজান্ডারের অতৃপ্ত আত্মা বুঝি এই বাবু ভাইয়ের শইলে ভর করছে। হেন কোন বিষয় নাই যেটা সে জানে না, হেন কোন বিষয় নাই যেইখানে তার চা.পি.ডি (পি এইচ ডি-র অনুকরণে চাপা পিডাইন্না ডিগ্রি) নাই।

সে কথা শুরু করলে নিজেরে চামচিকা মনে হইতে পারে যারা তারে না চিনে। এইরম ইশমাট-হ্যান্ডশেং লোকজন জগতে হাতে গুনলে দুইটাই আছে। আরেকজন অবশ্য এই ব্লগে মহানন্দে ইতিহাসের খনাখন্দে নিজের মতো বাম হাত ঠেলতাছে। যাউকগা, কইতাছিলাম দোস্তবর বাবু ভাইরে নিয়া। একদিন ঘরে বইসা আড্ডার ফাকে ফোনটা উঠাইয়া হুদা কামেই নাম্বার ঘুরাইলাম ইয়ার দোস্তের।

ঐ বাসায় আবার স্বনামধন্য বাবু ভাইও থাকে। ফোনটা ধরলো সে-ই। কয় হ্যালো... আমিও সাধারণ ভাবেই কইলাম হ্যালো... - কে বলচেন, কারে চান...? মনে হইলো হালায় কি চিনে নাই নাকি? - বা-বু আ-ছে-ন? (একটু টান দিয়ে, যেমনটা ঢাকা থেকে সৌদীআরবে কথা বলার সময় লোকজন টিএন্ডটি অফিস থেকে বলে) ঃ- জি্ব বলচি, আপনি কে বলচেন? -আমি ঢাকা থেকে ব-ল-ছি। টি-এন্ড-টি থেকে... ঃ- ও জহির আ-ং-কে-ল ...? (ঐবার সে-ও টানাটানি শুরু করে কথায়) ভাবলাম চান্দু পুরা লাইনে আইছে। আমার কথা বলার ঢং দেইখা বাকিরা গেলো থাইমা।

এতোবড় আর ভালো মজমা সহসা আসে না। - তা বাবা কি-মু-ন আছো? তোমার বাপ তো খালি তোমার কথা কয়। ঃ- হে আংকেল, আব্বা একটু বেশি-ই চিন্তা করে। - বাবা পড়াশুনা কইরো, ডিশকু ফিশকু তে যাইওনা। শুনছি ঐদেশের মেয়েরা খুব খারাপ, ঝপাৎ কইরা ধইরা বসে।

তুমি আবার কারো লগে থাকো টাকো নাতো বাবা? ঃ- (হে হে হে, হাসি দিয়া) কি যে বলেন আংকেল। ঐসব পোলাপাইনের কোয়ালিটিই আলাদা। আমিতো মাইয়া মাইনসের দিকে ফিরাও চাইনা...। - ক্যান বাবা, তোমার কি কোন হেলথ অসুবিধা আছে? থাকলে তো শুনছি ঐদেশে ট্রিটমেন্টেরো অবস্থা ভালো। দেখাইয়া ফেলাও... ঃ- না আংকেল।

আসলে পড়াশুনার লাইগা খাওয়ার ই সুযোগ পাইনা। - বাবা পড়াশুনা যেমন জরুরী, খাওয়া যেমন জরুরী, গার্লফ্রেন্ডও তেমন। তোমার বাবা, আমি - আমরা যখন পড়াশুনা করছি আমাদেরও আছিলো...। এইটা খারাপ কিছু না। ঃ-জি্ব- - আংকেল... তবে ঘটনা হইলো কি- - ঘটনা যাইহোক বাবা।

গার্লফ্রেন্ড হইবো, তাগো লগে চলবা, সময় কাটাইবা, সিনেমা দেখবা- এগুলা তো নরমাল। এই বয়সে এগুলা না করলেই তো খারাপ। মনে হইবো ডাক্তারী পরোবলেম আছে কিনা শরীরে! সেদিন ইচ্ছামতো মজা লইছিলাম। এতোদিনের কথা পুরাটা মনেও নাই। এই হবুচন্দ্্র আসলেই কোন মেয়ে মানুষের দিকে ডাইরেক্ট তাকাতো না।

তবে কোন মেয়ে কোন চিপায় কারে কিস করছে, এই খবর তার কাছে পাওয়া যাইতো। বাসায় হলুদ কিনতো না। তরকারীতে হলুদ দেয়াটা কোন কামের কিছুই না, এই চিন্তা করে। যে বেচারা তরকারীতে দেবার লাইগা হলুদ কিনে না, সে ক্যামনে দশটা ডলার খরচ করবো কোন মেয়ের পিছে? আমরা না হয় বাদ ই গেলাম- লস প্রজেক্ট! তবে শালা পোলাপাইনের পিছে লাইগা থাকতো। কারে কার লগে আড্ডা দিতে দেখছে, কেডা কোন মাইয়ার লগে লাইব্রেরীতে গেছে, কার মোবাইলে কয়টা মেয়ের নাম্বার আছে, এইসব নিয়া খোঁচাইন্না কথা কইতো যা শুইনা পিন্ডি জ্বইলা খাক হইয়া যাইতো।

সিনিয়র মানুষ কিছু কইতেও পারতাম না। সুযোগ পাইয়া ইচ্ছা মতো লইছিলাম তার উপরে। আমারে এমনিতেও সে খুব একটা পছন্দ করতো না, তার তাল ফাটাইন্যা কথায় বাঁশ দিতাম বইলা। শেষের দিকে ও কার সাথে জানি লিভিং টুগেদার করা শুরু করলো। কাউরে কয় না।

অনেকদিন পর দেখা হবার পর খুব সাধারণ ভাবেই আমি জিগাইলাম, অ বাবু ভাই- কই থাক কইলানাতো। ততদিনে আমি ভালো হইয়া গেছি। খোঁচাখুচি করিনা, কারো পিছনে বংশদন্ড ঠেলি না। হালায় চান্দা ভেটকি দিয়া কি জানি একটা কইছে, শুইনা গেলোগা মেজাজটা তেঁতাইয়া! হাতে ভাতের বাসন, আবার জিগাইলাম, কইতে কি অসুবিধা আছে? হেরপরে, কইলো পোলাপাইনরে কইয়া ভেজাল করুম নাকি? আমি কই, ক্যা- পোলাপাইন গিয়া কি বেড়ার ফাঁক দিয়া চাইয়া থাকবো তুমি কি করো? তুমি কি খারাপ কাম করো নাকি? বাবু ভাই জিগায় খারাপ কাম কি? কইলাম *ো*ো....? ===================================== [গাঢ়]ডিসক্লেইমার ঃ বাবু ভাইয়ের ক্যারেক্টারের সাথে মাননীয় ব্লগার জনাব আকন্দ সাহেবের কোন সামঞ্জস্য নাই। কেউ মিল খোঁজার চেষ্টা করবেন না কইলাম![/গাঢ়] ছবি ঃ [link|http://www.poster.net/aguilera-christina/aguilera-christina-telephone-5200151.jpg|GBLv


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.