পুঁজিবাজারে অনাস্থা, ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম ও আমানতে সুদের হার কমায় সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬২৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে যা গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে তিনগুণের বেশি।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখতের মতে বিপুল অঙ্কের অলস অর্থ (বিনিয়োগ হচ্ছে না এমন টাকা) পড়ে থাকায় ব্যাংকগুলো আমানতের সুদের হার কমিয়ে দেয়ায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে। এছাড়া শেয়ারবাজারে ধস, হল-মার্কসহ ব্যাংকগুলোর নানা কেলেঙ্কারির কারণে মানুষ সঞ্চয়পত্রের মতো নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে।
সঞ্চয় পরিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ২০৯ কোটি টাকা।
আর পুরো অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৭৭২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ৬২৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর ৮০ ভাগই পরিবার সঞ্চয়পত্র।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে গত অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সাত হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। বিক্রি কম হওয়ায় পরে তা কমিয়ে এক হাজার ৯৭৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
শেষ পর্যন্ত পুরো অর্থবছরে মাত্র ৭৭২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
পরিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার ৩২৬ কোটি টাকার। একই সময়ে গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্র ভাঙানো বা মূল্য পরিশোধ বাবদ খরচ হয়েছে ২২ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রি ছিল ৭৭২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের মাধ্যমে বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্র, প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ছয় মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।