খুব গোলমেলে, নিজেও ভাল জানি না। তবে আছে,এই ঢের।
এক ভাঙা দেওয়ালের সামনে শুভ্র রাত্রিবাস গায়ে দাঁড়িয়ে তিন নারী, নিজেদের মধ্যে করে ইশারা, চপল হাসিতে গড়িয়ে পড়ে এর গায়ে ও। শুভ্র স্বচ্ছ রাত্রিবাসের ভেতর পরিষ্কার দৃষ্টিগোচর হয় কারুকাজ করা সাদা অন্তর্বাস। ওরা দাঁড়িয়ে আছে তোমার বাংলোর সামনে।
ওদের দৃষ্টি নিবদ্ধ তোমার বাংলোর দিকে, তোমার দিকে।
এক ঘরের ভেতরে তুমি , বসে আছ বিছানায়। শুভ্র রাত্রিবাস গায়ে দাঁড়িয়ে তিন নারী তোমার ঘরে। দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে তামাশায় মগ্ন। তৃতীয়জন তোমার পাশে, তোমার কাছে।
হাতে হাত। চোখে চোখ। উশখুশ তুমি। তোমার উদ্বিগ্ন দুচোখ বারে বারে দেখতে চায় দরজার এপাশে কে কী করছে। কিছু একটা খুঁজছ তুমি।
কাওকে খুঁজছ! আমাকে কী?
তোমার মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ছবি দেখার চেষ্টা করি। তুমি নাকী অনেক ছবি তুলেছ। হঠাৎ বুঝতে পারি এই ফোনটা আমার অচেনা! এক অদ্ভুত শ্যাওলা সবুজ মোবাইল হাতে নিয়ে আমি তার ফাংশন বোঝার চেষ্টা করি। শুধাই তোমাকে, এই ফোন? তুমি কাচুমাচু, সামনে দাঁড়িয়ে ছড়ি হাতে দিদিমণি, বলো, এর ফ্রেশিয়াটা বদলী করেছি! আহত দুচোখ আমার তোমার পরেই নিবদ্ধ। নীরব প্রশ্নের ঊত্তরে তুমি বলে ওঠ, ওই ফোনটা আমার পছন্দ ছিল না!
আমি শুনতে পাই, আমার ভাল লাগে না।
আমার ভাল লাগে না। ওখানে আমার ভাল লাগে না। আমি পিছোতে থাকি। আমার পেছনে খোলা দরজা। পিছু হেঁটে আমি পেরিয়ে যাই বাগান।
তোমার দরজায় স্থির দুচোখ আমার। তুমি কী বেরিয়ে আসবে? আমাকে ডাকবে কী তুমি? আমি মুখ ঘুরিয়ে দৌড়ে পেরিয়ে যাই পাহাড়ী রাস্তা, দ্রুত নেমে যাই ঢাল বেয়ে। হুমড়ি খেয়ে পড়ি আবার উঠে দৌড়াই। ওই তো সামনে দানিয়ুব। ওপারে আলোকিত শহর, এপারে পাহাড়চুড়ার বাংলোয় তুমি আর শুভ্র , স্বচ্ছ রাত্রিবাসে তিন নারী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।