আমার বাংলা আপার কাজিনকে ছেলেপক্ষরা দেখতে এসেছে। দেখাদেখির এক পযর্ায়ে আপা ছেলেকে(বর) বললেন আরেকটা মিষ্টি নেন। ছেলে বলল আমার পেটে ঠুয়া মারলেও আর একটা মিষ্টিও ঢুকবেনা(যদি জানতো কি বলল)। মেহমানরা চলে যাওয়ার পর আপার কাছে মত জানতে চাওয়া হলে আপা এককথায় নাকচ করে দিলেন যে ছেলে, মেয়ে দেখতে এসে ঠুয়ার মত অর্বাচীন শব্দ ব্যবহার করে সে আর যাই হোক সুন্দর রুচীর মানুষ নয়।
হায়রে ঠুয়া! হইতে দিলিনা বিয়া!
(অবিবাহিত ব্লগাররা অ্যাটেনশন প্লিজ) এই হচ্ছেন আমাদের বাংলা আপা।
তার কারনে আমরা ক্লাশে সবাই সুন্দর মার্জিতভাষিনী ছিলাম। অবশ্য বাসায় যেই কে সেই রাম শাম যদু মধু কমু যামু খামু।
কিন্তু এখানে এসে দেখলাম আমার বাসার ভাষার নিদের্াষ কমু যামু খামু ফেলটুস। আহা! আপা যদি দেখতো তার এতো পি্্রয় বাংলাভাষার কি সুন্দর ব্যবহার।
আমার এক অতি শ্রদ্বেয় স্যার ছিলেন।
যদি কখনও অসতর্ক মুহূর্তে স্যার কে বলে ফেলতাম 'ক্যান স্যার'? স্যার বলতেন 'যক্ষা'। আমি ভাবতাম কি যে জ্বালা কবে পাব রক্ষা।
হ্যা, স্যার এখন আর আমাকে পড়ান না। আমি স্যারের যক্ষার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। কিন্তু স্যার আমার জীবনের চলার পথে যে অঢেল ভালোবাসা,অশেষ স্নেহ আর অদম্য স্পৃহা ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছেন, সেটা থেকে কিছুতেই রক্ষা পাচ্ছিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।