[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
রাজনীতিবীদদেরই দোষ বেশী । তারাই যে সর্বোপরে বিভক্তি বিচারে তাই বিভাগ করা হোক কর্মের শ্রেণী বিন্যাসে কিংবা ক্ষমতার শ্রেণবিন্যাসে। দোষটা র মূল কোথায়? সেটাই ভাবছিলাম।
কেনো যেন মনে হলো মূল হচ্ছে সিস্টেমে , পদ্ধতিতে পন্থায়। সুবিধা অনুযায়ী তিলে তিলে সব সিস্টেম গড়ে উঠেছে রাজনীতিবীদদের দ্বারাই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে।
সেটা দুটো কারনে -প্রথমত কেউ কেবল ক্ষমতাধর হবার জন্যে আর কেউ ক্ষমতার সাথে রাজকীয় জীবন আস্বাদের জন্যে।
ক্ষমতা কে না চায়? আর সেই ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে হলে সিস্টেম কে অনুকূল করতেই হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।
কর্মের শ্রেণী বিন্যাসে সর্বনিচে ধরতে পারি নিঃসন্দেহে পথের ভিখারী , মিসকীনদের । এরাও কিন্তু এই সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ , ভুল লে চলবেনা। আর সর্ব উপর ধরতে পারি শাসককূলের সকল কে ( যে যখন শাসন করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছে মানে সরকারের অংশ হয়েছে)।
সিস্টেম কলাপস হলে নিচ থেকে উপরে সর্বত্রই হতে হবে না হলে সেটা সম্পূর্ণ হতে পারেনা। আর তাই হয়েছে। ক্ষমতা আর আয়েশ লোভীর দল দীর্ঘ 36 বছরে সেটা করতে পেরেছে স্বার্থক ভাবে।
রাস্তার ফকীর তাই দূর্ণীতির বাইরে যেতে পারেনা। ভিক্ষার একটা অংশ তাকেও ট্যাঙ্ দিতে হয় ।
কখনও পুলিশ কে, কথনও বা স্থানীয় কোন ক্যাডার নেতাকে।
কর্ম স্তরের উপরে উঠতে থাকলে কি কোথাও এই অপ সিস্টেমেরে ব্যতয় ঘটে? মনে তো হয়না।
রিকশা চালক কে হরহামেশা দিতে হচ্ছে ট্রাফিককে ঘুষ। অনেক ক্ষেত্রে রিকশাওয়ালা যে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয় তার লাইসেন্স থাকেনা। ট্রাফিকের ও সুবিধা হয় ঘুষ নিতে।
রিকশার মালিক দেখা যায় দশটা রিকশার লাইসেনস্ করলে রিকশা নাময় পনেরটা। কারন সেখানেও ঘুষ আছে। লাইসেন্স করতে গেলে তাকে দেখানো হবে হাইকোর্ট।
যে ব্যক্তিরা সরকারী চাকুরে হিসাবে লাইসেন্স দিতে বসছে তাদেরও দেখা যাবে চাকুরী নিতে বড় নেতা কাউকে টাকা দিতে হইছে । তারউপর বেতন পায় যা তাতে ছোট পরিবার নিয়েও এই বাজারে অর্ধেক মাসও টিকে থাকা সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়না।
( যেখানে একটা প্রাইভেট কোম্পানীর ড্রাইভারের বেতন হয় 7 /8 হাজার টাকা সেখানে একজন বি সি এস অফিসারের বেতন স্কেল মাত্র 6800 টাকা, বোঝেন) । তারউপর ঘুষের ভাগতো উধর্্বমুখী চলতেই থাকে। ...
ব্যবসায়ীরা ট্যাঙ্ ফাকি দিতে ওস্তাদ । পলিটিশিয়ানদের আবার রাজনীতি করতে লাগে টাকা। দল চালাতে হবেতো।
টাকা দেবে কে? বড় বড় ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী যখন টাকাই দেবে, নিয়েই নেবে কিছূ সুবিধা। বড় কন্ট্রাক্ট পাবে। ভেজাল চালানোর সুযোগ পাবে। ভেজালে লাভ বেশী।
বেশী লাভ না হলে পলিটিক্যাল পার্টিতে টাকা দেবে কেমনে?...
লিংকড আপ সব সিস্টেম ....লিংকড আপ যত সব দূর্ণীতি। ....
তাই বলতে চাই ...ব্যক্তি বিশেষ ধরে ধরে শাস্তি দিলে ই কি হবে....সিস্টেম ব্রেক করতে হবেনা। একটা সিস্টেম এর সাথে আরেক সিস্টেম জড়িত । এক দূনীতির সাথে আরেক দূণর্ীতি । ব্যক্তি বদলায় , সিস্টেম আর বদলায় নি।
তাই তো স্বচ্ছ তার ধূয়ো তোলা উপদেষ্টারাও শুনি প্রকল্প দূর্ণীতির বিলাসী গাড়ীতে চড়ছে --এ্ই ধরনের খবর বের হয় পত্র পত্রিকায়। ...
সবাই এক ভাল ভাল কথা বলে সিস্টেমের কথা কেউ বলে না। ব্যক্তি কে নির্মূল করলে ই কি দূর্ণীতি খতম হবে?
একজন ইনেস্পেকটর থানার কয়টাকা বেতন পায় বলেন তো?...সর্বসাকুল্যে 10 হাজারও ক্রস করবেনা সিনিয়ার হলেও। তাকেও তো সেই একই বাজারে বাজার করতে হয় যেখানে 20 হাজার টাকা বেতন পাওয়া লোকটা বা আরও বেশী ইনকাম করা ব্যবসায়ী বাজার করে। থাকতে হয় একই সমাজে।
তার ও বউ বাচ্চা আছে। ..
সিস্টেমের উপর হতে নিচে সবার জন্যেই এটা সত্য ।
তাইবলে খালি বেতন কম দেখেই যে দূর্ণীতি তা কিন্তু নয় । উচ্চ বেতনের বেসরকারী কর্মশ্রেনীও অনেক অনেক দূর্নীতির সাথে যুক্ত। কেমন? একটা তুচ্ছ উদাহরণ ..ইনডিয়ান পার্টস এর মধ্যে যদি কেউ স্ক্রিন প্রিন্ট করে জার্মানী বা জাপান লেখে বেশী দামে বেঁচে মার্কেটে সেটাকে কি দূনীতি বলবনা।
বলবনা তার সাথে জড়িত সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দূনীতি কারী? নিশ্চয় বলা উচিৎ। ....
তার উপর সিস্টিমের মাঝে দূর্নীতির যে শিকলের দুমুখী টান তার মাঝে ই যে সকল সমস্যা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।