আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুটপাতের অসহায় মানুষ: মানবতার জয়গানধারী ব্যাক্তিগুলো দেখতে পায়না। কিন্তু নিজেদের স্বার্থের স্মারকলিপি সরকারের কাছে ঠিকই পৌছে

”সব রাজাকারদের বিচার চাই”

ধর্ম বলতে কিছুই নেই। মানবতার সেবাই পরম ধর্ম। নাস্তিক গুলো সকাল-সন্ধ্যা এই যিকির ঠিকই করে। মানুষ তাদের ফাকা বুলি যখন শুনে তখন মনে করে পেয়েছি গরিবের সাহায্যকারী একটি দল। এই ধোকায় পড়ে হাজার হাজার মানুষ নিজেকে পশু ও উন্মাদ করে গড়ে তুলছে।

আমার একটা ফ্রেন্ডও খুব মানবতার সেবার বুলি আওড়াতো নিয়মিত। আমি তাকে জিঙ্গেস করেছিলাম, আচ্ছা দোস্ত তোরা তো মানুষের সেবার কথা বলিস কিন্তু তোকে তো আমি কখনও গরিবদেরকে সাহায্য বা খাওয়াতে বা তাদের অধিকারগুলো আদায় করে দিতে দেখেনি-এর কারণ কি? প্রতিউত্তরে সে আমাকে একটা উল্টো একটা প্রশ্ন ছুড়লো- আচ্ছা তুই তো অনেক বিষয়ে স্ট্যাডি করিস কিন্তু একটা বিষয় কি জানিস? আমি বললাম কি সেটা আগে বল? সে বলল, আচ্ছা বৌদ্ব ধর্মের যেখানে সেখানে জীবের সেবা, জীবের প্রেম, মানুষের সেবা, মানুসের প্রেম বিষয়ে কি ভুরিভুরি কথা ও লেখা দেখিসনি? আমি বললাম দেখেছি, বহুত দেখেছি কিন্তু এটার সাথে তোদের কি হলো? আমাকে বলল দোস্ত পৃথিবীর ইতিহাসে কোনও নজীর দেখাতে পারবি কি যে বৌদ্বরা জীবের পরম সেবা করেছে? মানবতা রক্ষার জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়েছে? কোথাও দেখাতে পারবি না। কিন্তু এই সেবার কথাগুলা মানুষের কাছে বেশি প্রচার করে কেন তা কি তুই জানিস? আমি বললাম কেন তুই বল। সে আমাকে বলল পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ গভীরে কি আছে চিন্তা করতে পারে না। কিন্তু তাৎক্ষনিক জীবের সেবার কথাশুনে শান্তি অনুভন করে।

মনে করে এরাই বুঝি সত্যিকারের মানুষ-যার জন্য অপর মানুষের সেবা করার জয়গান গাইছে। এই হচ্ছে ধোকা দেয়ার পৃথিবীতে একটি শ্রেষ্ঠ পন্থা। কিন্তু কখনই তারা মানুষ সেবা করবে না। উল্টো মানুষকে নির্বিচারে মারতে তাদের অন্তর একটুও কাঁপবে না। তুই খেয়াল কর পৃথিবীতে এটারই আধিপত্য দেখতে পাবি।

কিন্তু সব ভুয়া,সব ভুয়া। তার কথা শুনে আমি টাস্কি খেয়ে গেলাম। হায় দুনিয়া। হায়রে মানুষ। তোরা মানবতার জয়গান গাইছস মানুষকে চুষে খাওয়ার জন্য।

এতো নরকের ভয়াবহতার দৃশ্য। রাজধানী ঢাকায় অনেক অসহায় মানুষ, যারা কিনা সামান্য খাবারের জন্য অন্যের দিকে চাতক পাখির মত অসহায় দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। কে আছে আমাদের একমুঠো খাবার দিবে-এই হচ্ছে তাদের হৃদয়ের অনুক্ষন আকুতি। তাদেরকে নিয়েই ব্যবসা করছে মানবাতার জয়গানধারী পশু নামক মানুষগুলি। আপনারা কি কখনো দেখেছেন এই মানবতার কথিত জয়গানধারী ব্যাক্তিগুলো অসহায় ফুটপাতের মানুষগুলোকে পূর্নবাসন করার আন্দোলন করেছে? গরিবদের মুখে একমুঠো অন্ন তুলে দিয়েছে? সরকারের কাছে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে? নিজেরা নিজেদের পকেটের টাকা থেকে তাদেরকে একটি মাথা গোজাবার ঘর করে দিয়েছে? কখনই দেয়নি।

উল্টো কি হয়েছে জানেন? এই মানবতার জয়গানধারী ব্যাক্তিগুলো উল্টো আমোদ-প্রমোদের সব কিছু পেয়েছে। বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ পেয়েছে। নিজের চাকরি বাকরির পথ খুজে পেয়েছে। নেতা সাজতে পেরেছে। কথিত নামি-দামি ব্যাক্তি হতে পেরেছে।

মানুষের বাহবা পেয়েছে। কিন্তু গরিব বা অসহায়রা কিছুই পায়নি। দেখুন খেয়াল করে, কোথাও এই মানবতার জয়গানধারী ব্যক্তিরা যদি ব্যাক্তিগত ঝামেলার কারণে কারও দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে মিডিয়ায় হাই লাইট হয় জনগনের ওমুক দাবিটা আদায় করার কথা বলার জন্য ওমুক আক্রান্ত হয়েছে, কিছু ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর রোষানলে পড়েছে। আর অন্যদিকে তাদের সম-গোত্রীয়রা বড় বড় বুলি আওড়ানোর পর সরকারের কাছে ঠিকই দাবি পেশ করে। তাদের দাবিগুলোও মিডিয়ায় হাই লাইট হয়।

তাদের স্বার্থ ষোল আনায় আদায় করে ছাড়ে। কিন্তু অতীতেও কোনও মানবতার জয়গানধারী ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীরা গরিব অসহায়কে কিছু না দিয়ে যেমন শুষে ও ব্যবসা করে চলেছে। এখনও করছে। এটা মানবতার জয়গানধারীদের একটা বিজনেস পলিসি। জামাত-শিবির গং যেমন বিজনেস করছে ধর্ম নিয়ে তেমনি মানবতার কথা বলে এই জানোয়ার গুলোও বিজনেস করছে।

মথ্যখান থেকে মরছে আম জনতা। তাই নিজেদের স্বার্থে নিজেদের জন্যই এই পশু ও জানোয়ার গুলো থেকে জনগনকে এখনই সচেতন হতে হবে। তাহলে তাদের বিজনেস বন্ধ হবে। প্রকাশ পাবে আসল চেহেরা। যেটা খুবই কুৎসিত ও নিকৃষ্ট দুর্গন্ধময়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.