আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুটপাতের ভাষন - ১

সবাইকে আমার নিজস্ব ব্লগ ভিজিট করার আমন্ত্রন রইলঃ www.islameraalo.wordpress.com সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরতে বা কাজ করতে গিয়ে কত লোকের সাথেই না কথা বলতে হয়। মাঝে মাঝে ভিবিন্ন ব্যাপারে বক্তব্যও দিতে হয়। কাউকে বা উপদেশ, পরামর্শও দেয়া হয়। একটু খেয়াল করলে দেখবেন এগুলোও কিন্তু এক প্রকারের ভাষন। বলা যায় ফুটপাতের ভাষন।

আমি ভাবছি সারাদিনের কিছু ফুটপাতের ভাষনকে তো ব্লগে শেয়ার করা যেতেই পারে। কি বলেন ? ০ সব ব্যাপারেই ঝগড়া ভালো না। অশান্তি ভালো না। লড়াই করে, হিংসা করে কেউই শান্তি পায়না। বরং নিজের আঘাতকে তাজা করে।

ভারত-পাক ম্যাচ মানেই একটা অন্যরকম উত্তেজনা। যেন খেলা নয় যুদ্ধ। চ্যানেলের বিজ্ঞাপন গুলোও উসকানিমূলক। সব করো শুধু হারও না। এর মধ্যেই একটা ঘটনা মনকে ছুঁয়ে গেল।

পাকিস্তান থেকে আগত এক দম্পত্তি টিকিট পায়নি ইডেন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। তারা খুবই হতাশ। এত দূর থেকে এসে খেলা দেখতে না পেলে হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। একজন ভারতীয় ব্যাপারটা জানতে পেরে নিজের ২ টি টিকিট তাদের দিয়ে দেন। ব্যাপারটা নিয়ে মিডিয়াও মাতামাতি করল।

সেই ভাইকে আমার সালাম…. ০ ‘ধোনি কে সরাও’ শুনে শুনে কান পচে যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। “হাতি যখন দ’য়ে পরে চামচিকেতেও লাথি মারে”। এই চ্যান্সে গেঁন্দুরাম-হেঁদারাম সকলে ধোনির পেছনে লেগেছে। হাসি পায় আমার এদের থেকে। আজ ধোনিকে দেখে মুগ্ধ হলাম।

এত ঠান্ডা মাথা কিভাবে যে করে। আজকের খেলায় সবাই মুখ থুবড়ে পড়ল। ধোনি কিন্তু টুক টুক করে খেলে গেল শেষ অব্দি। নট আয়টও থাকলো। ক্যাপ্টেন হওয়া উচিত এমন।

ধোনি ভারতীয় ক্রিকেটকে যা দিয়েছে তা এর আগে কেউই দেয়নি। ধোনিকে ধন্যবাদ আমাদের আনন্দ দেবার জন্য, বিশ্বকাপ দেবার জন্য। ০ নিতেশ কুমার (বিহারের মুখ্যমন্ত্রী) সাম্প্রদায়িক না। তিনি মুসলিমদের ভালো চান এতে কোন সন্দেহ নাই। কয়েক বছর ধরে বিহারের সকল কবরস্থানকে ইট দিয়ে ঘিরে হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি।

কয়েক মাস আগের কথা। বিহারের নির্বাচনে বি.জে.পি তার পার্টির সাথে জোট করতে চেয়েছিলেন। বি.জে.পির বিহার রাজ্য কমিটির কাছে তিনি এক সাহসী শর্ত রেখে সবার চোখ কপালে তুলেছিলেন। তিনি শর্ত দেন, জোট হবে কিন্তু আদবানী, নরেন্দ্র মোদির মতো সাম্প্রদায়িক নেতারা বিহারে প্রচারে আসতে পারবেন না। বি.জে.পির মধ্যে হই চই হলেও রাজ্য কমিটি শর্ত মেনে নেন।

এমন নেতার সত্যিই খুব দরকার। সাপও মরবে আর লাঠিও ভাংবে না। ০ বিয়ে বাড়ির আসে পাশে, মানে নিজ এলাকাতেই করা উচিত। এর অনেক ফায়দা আছে। যেমন বউকে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসার মতো বিরক্তিকর ঝামেলার মোকাবিলা।

বাচ্চা-কাচ্চারাও নানা-নানি, মামা-খালার বাড়ি সহজেই যেতে পারবে। তাদের আদর পাবে। তারাও মাঝে মাঝে মন হলেই চলে আসতে পারবে। শশ্বরবাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পাওয়া যাবে। বিশেষ করে ব্যবসার ক্ষেত্রে।

কেউ অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া বা সমস্যায় পড়লে সাহায্য করা যাবে। ________________ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সাথে থাকুন। শুভ ব্লগিং। _________________ জানুয়ারি ০৩, ২০১৩ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.