ভিক্ষুক মনে হয় সব দেশেই আছে। দেশে থাকতে প্রতিদিনই ভিক্ষুক আসতো ঘরের দরজায়। শুক্রবারে সকাল থেকে দলে দলে আসতো। মা ও যেন ওদের জন্য প্রস্তুত থাকতো। বাবা প্রায়ই হাক ছাড়তেন রুমের ভেতর থেকে ভিক্ষুকদের গলার শব্দ পেয়ে।
মা কে প্রায় বকাঝকা করতেন সবাইকে ভিক্ষা দেয় এজন্যে। তার মতে যাদের কাজ করে খাওয়ার সমিথ নেই কেবল তাদেরই ভিক্ষা দেয়া উচিৎ। কে শুনে কার কথা। মার কথা হলো সওয়াবের উদ্দেশ্যে দান করছি সে যেই হোক।
বিদেশে এসে ভিক্ষুকের অনেক অভাব দেখলাম।
লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড ষ্টেশানের আসৈ পাশে দু একজন গানশুনিয়ে পয়সা নেয়। অবশ্য তারা পয়সা দাবীও করেনা। এদের ভিক্ষুক বলা চলেনা। এদের নেশা করার জন্য পয়সা চাই আর সেটা রাস্তারধারে গানশুনিয়ে অজন করে। এছাড়াও কেউ কেউ ফুটফাতে চলন্ত মানুষদের কাছে চেনজ চেয়ে বসে।
এরকম অনেকের কাছ থেকে চেনজ মিলিয়ে নেশা করার পয়সা যোগাড় করে।
কিন্তু ইদানীং দিন বদলেছে। সেদিন ওয়াটারলো ট্রেন ষ্টৈশানে ক ইন্ডিয়ানে র পাল্লায় পড়লাম। চেহারা দেখেই সে বুঝেছে আমি এশিয়ান। প্রথমেই হিন্দি জানি কিনা জিজ্ঞেস করলো।
আমিও হ্যা বললাম। এরপর এক ঘটনা শুনালো ঐ ব্যক্তি। লন্ডনে এসে সমস্যায় পড়েছে। এখান থেকে ভারত এমবেসিতে যেতে পাচ পাউন্ড লাগবে। তার কাছে দুই পাউন্ড আছে ।
এখন আমি যেন তিন পাউন্ড দিয়ে সাহায্য করি। কিন্তু আমার কাছে আমার বাসায় যাওয়ার পয়সা ব্যতিত এক্সট্রা পয়সাও ছিলোনা। তাই ঐ ব্যাক্তি ন্ম্রসুরে সরি বললাম। পুলিশের সাহায্য নেয়ার পরামশ দিলাম। লোকটি সোজা উলেটাদিকে হাটা ধরলো।
আরেকজনকে ধরে একই কাহিনী বলতে দেখলাম দূর থেকে।
গতকালও ঐ একই ব্যক্তিকে দেখলাম একই জায়গায় এশিয়ান ধরে ধরে সাহায্য চাইতে। অনেকটা ভদ্রভাষায় ভিক্ষাকরার মত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।