পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ
আমি যারে চাইরে সে থাকে..
---------------------
কার্জন হলে ঢুইকা মনটাই খারাপ হইয়া গেলো, অ্যাপ্লাইড ফিজিক্সের বিলডিংয়ের কালার এককেবারে খ্যাত। কোন হালায় টেন্ডার পাইছে, পাগল না মাথাখারাপ? এইরকম বারোটা কেউ বাজায়?
কিন্তু আরেকটু সামনে গিয়া মূল দালান, মানে আমাগো ফিজিক্সের বিলডিংয়ের সামনে যখন দাঁড়াইলাম, মনটা ভইরা গেলো একদম! বুকটা টান টান কইরা লম্বা একটা নি:শ্বাস নিলাম, তিনবছরের নি:শ্বাস একবারে নিতে যতটুকু টাইম লাগে, কসম খোদার, তার চেয়ে এক সেকেন্ড বেশীই টানছি ।
ইচ্ছা করতেছিলো দালান গুলান হাত দিয়া ছুঁইয়া ছুঁইয়া হাঁটি, কিন্তু চারপাশে অনেক লোকজন, পাগল না ঠাউরায়!
জবাতলার পাশ দিয়া যাইবার সময় পা আর সরে না। চোখ খালি আড়ে আড়ে চইলা যায় মিলন ভাইয়ের ক্যান্টিনে। আরেকটু সামনে গিয়া বিজ্ঞান কারখানা, তারপরেই পোষ্টাপিস, লগেই জাহাঙ্গীর ভাইয়ের দোকান। আমি সেগুলার ধারে কাছেও গেলাম না, এক দিনেই মনের ভেতর স্মৃতির এত্ত প্রেশার নেয় কোন বেকুবে!
আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি
--------------------------
এয়ারপোর্টের বাইরে ঠ্যাং দেয়ার পর থেইকা আসবার আগ পর্যন্ত একবারো মনে হয় নাই, তিন তিনটা বচ্ছর আমি আমার দেশরে দেখি না। মনে হইছে, খুব বেশি তো পরশুদিন মনে হয় বাইরে গেলাম, এই তরশুদিনোতো ফার্মগেটের ধোয়া খাইতে খাইতে ছয় নাম্বার বাসে কইরা টিউশানিতে যাইতাম!
আসার আগে বহুৎ কাহিনি কেচ্ছা শুনছি, এইটা খাইয়োনা ঐটা খাইয়োনা , ওয়েদার এইরকম, সেই রকম। দেশে যারাই আসে, মিনিমাম পনেরোদিন তারা বিছানায় গড়াগড়ি কইরা কাটায়।
আমি হালায় কিয়ের কি, সারাদিন থাকি দৌড়ের উপর, চরকির মতন ঘুরি এখান থেইকা সেখানে। "শরীর খারাপ'' ব্যাটায় মনে হয় আমারে দেইখা ডরাইছে, কি জানি, উলটা হে নিজেই মেলবোর্নের টিকেট কাইটা পলাইছে কি না কে জানে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।